অঞ্চলের সংজ্ঞা অঞ্চলের উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণীবিভাগ সমূহ
প্রিয় পাঠক, আপনি কি ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে অঞ্চলের সংজ্ঞা অঞ্চলের উপাদান, বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণীবিভাগ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী, বিভিন্ন লেখকের বই পুস্তক ঘাটাঘাটি ও ওয়েবসাইট ভিজিট করে ও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে এবার সঠিক জায়গায় এসেছেন এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের এই প্রতিবেদনে অঞ্চলের সংজ্ঞা বিভিন্ন ভূগোলবিদদের সংজ্ঞা উপস্থাপন অঞ্চলের বিভিন্ন রকমের উপাদানসমূহ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বলে এবং অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকলে এই বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
ভূগোল ও পরিবেশে 'অঞ্চল' একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। সাধারণ মানুষের কাছে অঞ্চল বলতে সাধারণত বোঝায় বিশেষ গুণাবলী সম্পন্ন বিশেষ আয়তনের একটি ভৌগলিক এলাকা যা দিয়ে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য সাধন করা সম্ভব। ভূগোলবিদদের কাছে কিন্তু 'অঞ্চল' শব্দটি অন্য এক তৎপর্য রয়েছে। তাদের মতে, অঞ্চল নানাবিধ হতে পারে। যথা- ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি। অঞ্চল একটি শহর হতে পারে, গ্রাম হতে পারে, শহরের অঞ্চল হতে পারে কিংবা শহর ও গ্রামের সীমানা অতিক্রম করে বৃহত্তম অঞ্চল হতে পারে।
ভূগোলে অঞ্চলের ধারণা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের চিন্তাশীল মননে স্থান পেয়েছে। গ্রিক সভ্যতার পণ্ডিতগণ তাদের ভৌগোলিক জ্ঞান সাধনায় অঞ্চলের সংজ্ঞা, অঞ্চলের সীমানা, আয়তন, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এজন্য আদিমকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত অঞ্চল নিয়ে সমীক্ষা ভূগোলের দৃষ্টিভঙ্গের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
অঞ্চলের সংজ্ঞা (Defination of Regions)
এক বা একাধিক সমরূপধর্মী সমবৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও গুনোবলি সম্পন্ন বিশেষ আয়তনের একটি ভৌগোলিক অঞ্চলবিশিষ্ট্য স্থানিক একককে 'অঞ্চল' বলে। যেমন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ। বিভিন্ন ভূগোলবিদ অঞ্চলকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কতিপয় ভূগোলবিদের সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো-
১। ফরাসি ভূগোলবিদ Paul Vidal de la Blache এর মতে, "অঞ্চল হল এমন একটি জায়গা যেখানে বিভিন্ন সমাজের মানুষ এসে এক ধরনের প্রতিষ্ঠিত জীবনযাত্রা গড়ে তোলে।"
২। অস্ট্রেলিয়ার ভূগোলবিদ G. R. Taylor এর মতে, সমরূপ নিয়ামক বিশিষ্ট অসামান্য বিস্তৃত ভূপৃষ্ঠের একটি একক এলাকাকে 'অঞ্চল' বলা হয়। অঞ্চলগুলোর সহজাত সামগ্রিকতা ও সামাজিক ঐক্য রয়েছে।
৩। Robert. S. Platt এর মতে, অঞ্চল বলতে এমন একটি ভৌগলিক সীমারেখাকে বোঝায় যার নির্ধারিত ভূখণ্ড রয়েছে এবং সেই এলাকার আদিবাসীদের বিশেষ একটি অঞ্চল গড়ে ওঠে।
৪। David B, Grigg অঞ্চল সম্পর্কে তার ধারণা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, "অঞ্চল হল এমন একটি এলাকা যাকে কোন নির্দিষ্ট পরিচয় এ অন্য একটি এলাকা থেকে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে স্বতন্ত্র করা যায়।" এই স্বতন্ত্র যেমন একটি একক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে হতে পারে-তেমনি একাধিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
৫। K. Young এর মতে, অঞ্চল হচ্ছে একটি ভৌগোলিক এলাকা যার নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে ওই এলাকার লোকদের চিন্তাধারা, শিক্ষা, অবকাশ, বিনোদন প্রভৃতিতে স্বতন্ত্র রয়েছে এবং একটি এলাকা থেকে অন্য এলাকা পৃথক।
৬। সাম্প্রতিককালে আমেরিকান সোসাইটি ফর প্ল্যানিং থেকে ধারণা দেওয়া হয়েছে যে, অঞ্চল এমন স্থান যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের কাঠামো গড়ে ওঠে।
উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলোর আলোকে সাধারণভাবে বলা যায় যে, অঞ্চল হল একটি একক এলাকা এবং ওই একক এলাকার মধ্যে এক ধরনের স্থানিক তা সমরূপতা থাকে এবং এলাকাটি পার্শ্ববর্তী সব এলাকা থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র।
অঞ্চল গঠনের মাপকাঠি বা উপাদান (Elements of Regions)
অঞ্চলের ধারণা থেকে সুস্পষ্ট প্রতিমান হয় যে, অঞ্চল গঠনের কয়েকটি উপাদান বা মাপকাঠি অবশ্যই থাকতে হবে। এগুলো হলো-
(ক) সীমানা (Boundary)
(খ) অবস্থান (Location)
(গ) আয়তন (Area)
(ক) অঞ্চলের উপাদান সীমানা (Boundary)
সীমানা অঞ্চলের একটি স্বাভাবিক উপাদান। কারণ আয়তন ও প্রকৃতি ভেদে ভিন্ন হলেও প্রত্যেক অঞ্চলেরই একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে। যদিও সীমানার ওপর অঞ্চলের আয়তন ও পরিসর নির্ভর ক... করে। একটি অঞ্চলকে সংজ্ঞায়িত করার উদ্দেশ্যে যে রেখা দ্বারা সমবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বিভিন্ন স্থানকে অন্যান্য স্থান থেকে পৃথক করা হয় সেই রেখাকে উক্ত অঞ্চলের সীমানা বলে।
উদাহরণস্বরূপ বরেন্দ্রভূমি যদি বাংলাদেশের একটি অঞ্চল হয় তাহলে এর অবশ্যই সীমানা থাকতে হবে। বরেন্দ্রভূমি বলতে এমন একটি এলাকাকে বোঝানো হয়েছে যা রাজশাহী বগুড়া রংপুর দিনাজপুরের কিছু অংশ নিয়ে বিস্তৃত। সীমানা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যেমন-
১। নির্ধারক (Criteria)
যে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোন অঞ্চলকে ভাগ করা হয় তাকে নির্ধারক বা Criteria বলে। যেমন-একমাত্র শিক্ষার্থীদের উত্তর শিক্ষকদের মাঝে বিতরণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতগুলো আঞ্চলিক অফিস খোলা হয়েছে।
২। প্রধান (Core)
যে বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে অঞ্চল ভাগ করা হয় সেই বৈশিষ্ট্য বা বৈশিষ্ট্য সমূহ অঞ্চলের যে স্থানটিকে প্রগাঢ থাকে তাকে সে অঞ্চলের প্রধান বা Core বলে। যেমন বাংলাদেশের আটটি বিভাগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিস থাকলেও গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের Core ।
(খ) অঞ্চলের উপাদান অবস্থান (Location)
একটি স্থানের ভূপৃষ্ঠের কোথায় অবস্থিত তার নির্দিষ্ট স্থানকে অবস্থান বলে। ভূগোলে বিভিন্ন ধারণার মধ্যে সবচেয়ে পুরানো অথচ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অবস্থানের ধারণা। এজন্য ভূগোলবিদদের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো ভূপৃষ্ঠের কোন স্থান বা স্থানের অবস্থান জানা। ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের গাণিতিক অবস্থান জানার জন্য অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ব্যবহার করা হয়। আবার নিঃসন্দেহে অঞ্চলের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে।
(গ) অঞ্চলের উপাদান আয়তন (Area)
অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আয়তন। আয়তন হলো ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের যে নির্দিষ্ট পরিমাপ দ্বারা আয়তন রয়েছে তাকে একটি অঞ্চলের আয়তন বলে। যেমন-বিভিন্ন ধরনের শিল্পের স্থানীয় করনের ঢাকা জেলার তেজগাঁও একটি শিল্প অঞ্চল।
অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য (Characteristics fo Regions)
অঞ্চলে একটি স্থানকে বোঝানো হয় না, অঞ্চল বলতে কোন গ্রাম বা শহরের চেয়ে বড় বড় আয়তনের কোন এলাকাকে বোঝানো হয়ে থাকে। নিম নেওয়া অঞ্চলের কতিপয় সাধারন বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-
১। অবস্থান
অবস্থান অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। অঞ্চলটির অবস্থান সমতল ভূমি, নদ-নদী প্রবাহিত অবস্থান এমনকি সমুদ্র উপকূলীয় অবস্থান হতে পারে। ভূপৃষ্ঠের অবস্থানগত কারণেই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
২। প্রাকৃতিক উপাদান
ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, খনিজ সম্পদে-সমৃদ্ধ, উপকূল রেখা প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান। এসব প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা যেসব অঞ্চলের অবস্থান ভালো সেসব অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে আলাদা।
৩। দর্শনীয় অঞ্চল
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন, ঐতিহাসিক স্থান, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধি প্রভৃতি অঞ্চলগুলো একটি দর্শনীয় অঞ্চল বলে বিবেচিত হয়। এসব বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অঞ্চল গুলো অন্যান্য অঞ্চল থেকে পার্থক্য।
৪। সম প্রকৃতির
সমপ্রকৃতি অবস্থা অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কারণ অঞ্চলটির অবস্থানের দিক থেকে সম প্রকৃতি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে আলাদা হতে হবে। এজন্য প্রত্যেক অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকে। অঞ্চলের পারসিক সমরূপতা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
৫। তুলনামূলক পার্থক্য
অঞ্চলভিত্তিক পৃথিবীতে যেসব সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জৈবিক প্রভৃতির গুবলীর পরিবর্তন সাধিত হয়। তার অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সংক্রান্ত তুলনামূলক গবেষণার সূত্র থেকে অঞ্চলের প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
৬। গুনাগুন বিচার
একটি অঞ্চলকে এর শ্রেণীগত অন্তর্নিহিত মাপকাঠি দিয়ে গুনাগুন বিচার করা হয়। শ্রেণীবিভাগ অনুক্রমের মাধ্যমে অঞ্চলটি পৃথক একটি বিশেষ শ্রেণী হিসেবে নির্ধারিত হয়।
অঞ্চলের শ্রেণীবিভাগ বা প্রকারভেদ (Classification of Regions)
ভূগোলবিদগণ বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিভিন্নভাবে অঞ্চলের শ্রেণীবিন্যাসের চেষ্টা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত কৃষিবিদ ও ভূগোলবিদ হুইটলসির Ges, Derwent প্রমুখ পৃথিবীর ভূদৃশ্যের সাদৃশ্য বা সমরূপতার বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অঞ্চলকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করে দেখিয়েছেন। এগুলো হলো-
(ক) একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল (Singlefeature Regions)
(খ) বহু বৈশিষ্ট্য যুক্ত অঞ্চল (Multiplefeature Regions)
(গ) সর্ব বৈশিষ্ট্য অঞ্চল (Totalfeature Regions)
(ক) একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল (Singlefeature Regions)
একটি অঞ্চল গড়ে ওঠার মূল ভিত্তি বা সূচক হল আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী। বৈশিষ্ট্য, গুণাবলী বা সমরূপতা নির্ণয় করার জন্য প্রাকৃতিক এবং মানবিক নামক দুই ধরনের সূচক থাকতে হয়। অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মূল উপাদান আঞ্চলিক বৈশিষ্ট একটি সূচক প্রাকৃতিক অথবা মানবিক সূচকের একটিমাত্র সূচক দ্বারা যেসব অঞ্চল গঠিত হয় তাকে একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল বলে।
যেমন, বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে জলবায়ুগত কারণে ইক্ষু চাষ বেশি হয়। তাকে একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল বলা হয়। সাধারণত ভূমিরূপ, জলবায়ু, উদ্ভিদ এবং জনঘনত্ব শীর্ষ চারটি সূচক ব্যবহার করে একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল সনাক্ত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ নদী বিরোধী সমভূমি অঞ্চল, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা অঞ্চল, প্রভৃতি একক বৈশিষ্ট্যের অঞ্চল।
(খ) বহু বৈশিষ্ট্য যুক্ত অঞ্চল (Multiplefeature Regions)
সাধারণত যেসব অঞ্চলের একাধিক বৈশিষ্ট্য গুণাবলী পরস্পরের সাথে মিলিত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় সেসব অঞ্চলকে বহু বৈশিষ্ট্য অঞ্চল বলা হয়। মোটকথা আঞ্চলিক সমরূপতার একাধিক সূচক দ্বারা নির্ণীত অঞ্চল কে বহু বৈশিষ্ট্য অঞ্চল বলে। যেমন, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার নিবিড় সম্পর্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে একটি জলবায়ু অঞ্চল। বহু বৈশিষ্ট্য অঞ্চলগুলোকে আবার দুইটি উপ-বিভাগে ভাগ করা যায় যেমন-
১। আনুষ্ঠানিক অঞ্চল (Formal Region)
একাধিক অঞ্চলের মধ্যে এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য একত্রে প্রথিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক অঞ্চল বলে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা এক একটি আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক অঞ্চল, যার অভ্যন্তরে আইন এবং প্রশাসনের সমরূপতা বা সংগতি রয়েছে।
২। কার্যকরী কার্মিক অঞ্চল (Functional Region)
কতিপয় স্থান যখন কর্মসূত্রে কথিত থাকে অর্থাৎ কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে সাদৃশ্যতা বা সমরূপ বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, সেরূপ স্থান সম্মুখে ক্রিয়া মুলক বা কার্মিকভাবে সংঘটিত অঞ্চল বলে।
(গ) সর্ব বৈশিষ্ট্য অঞ্চল (Totalfeature Regions)
সর্ব বৈশিষ্ট্য অঞ্চল বলতে বিভিন্ন স্থানের সর্বাধিক বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র মণ্ডিত এলাকা বুঝায়। সর্ব বৈশিষ্ট্য অঞ্চলকে কম্পোজ নামে অভিহিত করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্বে যেমন রাষ্ট্র কতগুলো প্রদেশে, প্রদেশ কতগুলো বিভাগে বিভাগে কতগুলো জেলায় জেলা কতগুলো থানায় বিভক্ত হয়। কম্পোজ ধারনায় এই ধরনের কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের সন্নিবেশ কল্পনা করা হয়।
মন্তব্য
আজকের এই প্রতিবেদনের অঞ্চলের সংজ্ঞা, অঞ্চলের উপাদান, অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য এবং অঞ্চলের শ্রেণীবিভাগসমূহ আলোচনা করতে গিয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এতক্ষণ ধরে এই এই প্রতিবেদনটি আন্তরিকতার সহিত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখার বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য করতে চান তবে, নিচে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url