বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এর গুরুত্ব, সীমানা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত
প্রিয় বন্ধুগণ, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এর গুরুত্ব, সীমানা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, এই বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের বই পুস্তক এবং ওয়েবসাইট ভিজিট করে সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে এবার আপনি সঠিক জায়গায় এসে গেছেন। সঠিক তথ্য জানতে হলে নিচের প্রতিবেদনটি মনোযোগের সহিত পড়তে থাকুন।
আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব বাংলাদেশের সীমানা ও এর বৈশিষ্ট্য ভারত বাংলাদেশ সীমানার বৈশিষ্ট্য সমস্যা ও সমাধান ভারত মিয়ানমার সীমানা এর বৈশিষ্ট্য সমূহ সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। চলুন বিস্তারিত এগুলো জেনে নিই।
ভূমিকা
বাংলাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ সমস্যা ছিল, যা বাংলাদেশ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল। সে কারণে বাংলাদেশের আয়তন কখনো সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে অমীমাংসিত স্থল সীমানা ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দেশের আয়তন ও সীমানা পরিবর্তন হবে। তবে এখনো দেশের আয়তন সীমানা পরিমাপের কার্যটি সম্পন্ন হয়নি।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান
বাংলাদেশ এশিয়ার মহাদেশের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত একটি উন্নয়নশীল দেশ যা ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। পৃথিবীর গোলার্ধের ভিত্তিতে দেশটি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। মহাসাগরের ভিত্তিতে দেশটি, ভারত মহাসাগরের উত্তরে তথা বঙ্গোপসাগরের উত্তরে অবস্থিত।
বাংলাদেশ ২০ ডিগ্রি ৩৪ মিনিট উত্তরা অক্ষাংশ থেকে ২৬ ডিগ্রি ৩৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ০১ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২ ডিগ্রি ৪১ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। দেশটির মধ্যভাগে অর্থাৎ ২৩.৫০ ডিগ্রি কর্কটক্রান্তি রেখাটি অতিক্রম করেছে এই জন্য বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত বলা যায়।
ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাংলাদেশের সীমানা বেশিরভাগ অংশই ভারতের সীমানার সাথে সংলগ্ন। দেশটির উত্তর দিকে ভারতের কোচবিহার জলপাইগুড়ি আসাম মেঘালয় রাজ্য এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পূর্বে মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং দক্ষিণ পূর্বকোণ মায়ানমার অবস্থিত। দেশটি মূলত তিন দিক থেকে ভারত ও মায়ানমার দ্বারা আবদ্ধ। একমাত্র দক্ষিণ ভাগ উন্মুক্ত অর্থাৎ দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
বঙ্গোপসাগরের অপ্রসস্ত মহীসোপানের জন্য বিশেষ করে চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিরাজ করে, যা মানুষ্য বসবাসের অনুকূল। দেশটির অধিকাংশ এলাকা গঙ্গা ও ব্রমপুত্র নদীবাহিত পলি দ্বারা গঠিত। দেশের প্রায় সর্বত্র জলের ন্যায় নদী-নালা থাকায় এঁকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। এখানে রয়েছে কৃষি কাজের উপযোগী উর্বর মাটি ও জলবায়ু, জমির সেচকার্যে ব্যবহারের জন্য নদী নালা ও ভূগর্ভস্থ পানি, শিল্প ও কৃষিকার্যে নিয়োগের উপযুক্ত বিপদ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমি্ শ্রমিক, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গভীর ও অগভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করার উপযুক্ত সামুদ্রিক পরিবেশ এবং সর্বোপরি সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ।
ভূ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান আধুনিক যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অধিকাংশ সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এই কারণে এই পরিবহন মাধ্যমে পণ্য পরিবহন খরচ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য পরিবহন মাধ্যম অপেক্ষা কম।
বাংলাদেশের সীমানা ও এর বৈশিষ্ট্য এবং সমস্যা
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১ ৪৭ ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থলভাগ ১ ৩৩ ৯১০ বর্গ কিলোমিটার। এবং জলভাগ ১০০৯০ বর্গ কিলোমিটার। মোট স্থল সীমানা প্রায় ৪২৪৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতের সাথে সীমানা হলো ৪০৫৩ কিলোমিটার। এবং মায়ানমারের সাথে ১৯৩ কিলোমিটার। সমুদ্র উপকূলীয় রেখা ৫৮০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সর্ব উত্তর অবস্থিত স্থানের নাম বাংলা বান্দা এবং সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত স্থানের নাম ছেড়াদ্বীপ। এই দ্বীপটি সেন্টমার্টিন এর দক্ষিণ পাশে অবস্থিত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমানার বৈশিষ্ট্য, সমস্যা ও সমাধান
ভারত ও মায়ানমার বাংলাদেশের দুইটি সীমানা প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সুতরাং বাংলাদেশের দুইটি দেশের সাথে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। সামরিক দিক থেকে শক্তিধর ভারত বাংলাদেশের প্রায় তিন পাশে অবস্থিত। ভারতের সাথে দীর্ঘ সীমানা যথেষ্ট আঁকা বাঁকা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভিতর কোন রাষ্ট্রের ছোট এলাকা থাকলে তার ছিটমহল নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ ভারত ছিটমহল জাতীয় সমস্যা
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে প্রায় ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের মধ্যে ভারতের ছিটমহল রয়েছে ১১১ টি। এবং ভারতের মধ্যে বাংলাদেশের ৫১ টি। এ ছিটমহলে বসবাসকারী অধিবাসীরা যথাযথ নাগরিকত্ব ও সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বঞ্চিত।
দ্বি-জাতি তত্ত্বের আলোকে ব্রিটিশ শাসক গোষ্ঠী ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণ করে যে সীমানা সমস্যার জন্ম দেয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর উত্তরাধিকার সুত্রে সে সমস্যা প্রাপ্ত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা সমস্যা দিন দিন জটিল থেকে জটিলতার হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উৎখাতকৃত মনকষ্টে জর্জরিত ব্রিটিশরা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় উপমহাদেশের স্থায়ী অশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই সীমানা সমস্যাটার সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ ভারত ছিট মহল জাতীয় সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছিটমহল সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারতকে বেরুবাড়ি ছিটমহল হস্তান্তর করবে আর বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে তিনবিঘা করিডোর প্রদান করবে। বাংলাদেশ ভারতকে বেরুবাড়ী ছিটমহল হস্তান্তর করলেও ভারত সরকার রাজনৈতিক কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সে চুক্তি ২০১৫ সালে ৩১ শে জুলাই বাস্তবায়ন করে।
এই ছিটমহল বিনিময় চুক্তিটি কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের ৫১ টি ছিটমহল অর্থাৎ প্রায় ৭১ ১১০ একর জমি ভারতের রয়ে গেছে এবং ভারতের ১১১ টি ছিটমহল অর্থাৎ ১৭১৬০ একর জমি বাংলাদেশের অংশ রয়ে গেছে। ছিটমহল বিনিময়ে ভারত যে প্রায় ১০ হাজার একর জমি হারালো তার কোন ক্ষতিপূরণ ভারত পাবে না বলে প্রটোকলে উল্লেখ রয়েছে।,ছিটমহল গুলো লালমনিরহাট জেলায় ৪৯ টি, পঞ্চগড় জেলায় ৩৬ টি, কুড়িগ্রাম জেলায় ১২টি, নীলফামারী জেলায় ৪ টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে চুক্তি ও প্রটোকল অনুযায়ী ছিটমহল বাসি তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নাগরিকত্ব বেছে নিতে পেরেছে।
বাংলাদেশ ভারত পানি ও নদী সমস্যা
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো পানি সমস্যা। বাংলাদেশের প্রায় ৪০৫টি নদী আছে। যার মধ্যে ৫৭ টি আন্তর্জাতিক নদী। এর মধ্যে ভারতের সাথে ৫৪ টি এবং মায়ানমারের সাথে বাকি তিনটি নদী সংযুক্ত। বাংলাদেশের প্রধান নদী গুলোর হিমালয় পর্বতে উৎপত্তি হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। উজানের দেশ হওয়াই ভারত প্রধান কিছু নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করায় ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের সীমানা থেকে মাত্র ১৭.৭ কিলোমিটার দূরে ফারাক্কা নামক গ্রামের নিকট গঙ্গা নদীর উপর ভারত সরকার ১৯৭৫ সালের দিকে ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ করে গঙ্গার পানি একতরফাভাবে বিভিন্ন প্রদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা। যদিও এটি আন্তর্জাতিক নদী আইনে সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আন্তর্জাতিক আইনে বলা হয়েছে, প্রবাহমান নদীর জলপ্রবাহ উজান ও ভাটির সকল দেশ ব্যবহার করবে।
ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ করায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব নদী ওজনের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যারেজ নির্মাণের পূর্বে অত্র এলাকার নদীগুলো যথেষ্ট নাব্য ছিল। নব্যতা হারানোর ফলে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশীর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ভারত শুধু গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা ব্যারেজ নয়, তিস্তা নদীর উপর ব্যারেজ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ভারত গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমে প্রায় সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আর বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে এই দেশে বন্যার সৃষ্টি করে। তিস্তা নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় উত্তরবঙ্গে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানির উপর নির্ভরশীল শেষ যন্ত্র গুলো অচল।
বাংলাদেশ ভারত পানি ও নদীর সমস্যার সমাধান
নেদারল্যান্ড চিরস্থায়ী পলিসি আদালত বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫৬০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে 19467 বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশকে দিয়েছে। বাকি ৬১৩৫ বর্গ কিলোমিটার পেয়েছে ভারত। উভয় দেশ ই এ রায়কে এর স্বাগত জানিয়েছে। আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল এর বাইরে মহীসোপন অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ মায়ানমার সীমানার বৈশিষ্ট্য ও সমস্যা
ভারত ও মায়ানমারকে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানার মধ্যে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে পারেনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে তার বৈধ সমুদ্র সীমানা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তথ্য ও উপাত্ত জমা দিয়েছিল। এখানে, রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা, একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল ২০০ মাইল, ভিত্তিরেখা থেকে, মহীসোপানের দূরত্ব ৩৫০ নাটিকার মাইল নির্ধারণ করে জমা দেওয়া হয়। সবকিছু মিলে বাংলাদেশ যে সমুদ্র এলাকা দাবি করেছে তা দেশের মূল স্থলভাগের চেয়ে প্রায় ১.১% বেশি।
বাংলাদেশ যখন তার বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত সমুদ্র সীমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই সংলগ্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মায়ানমার অবৈধভাবে পদার্পণকৃত বাংলাদেশের সীমানায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য টেন্ডার এবং ভূকম্পিও জরিপ কার্য পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের বৈধ দাবীকৃত সমুদ্রসীমার মধ্যে ভারত প্রায় ১৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার এবং মায়ানমার প্রায় ১৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা অবৈধ পদার্পণ করেছে।
বাংলাদেশ যদি উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বা গ্রহণ করতে বিলম্ব করে তবে বিশাল একটি অঞ্চল হারাবে। যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি মারাত্মক হুমকি স্বর... স্বরূপ। তবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহলের সফল কূটনৈতিক তৎপরতা লবিং এবং যথাযথ পদক্ষেপের সাহায্যে মায়ানমারের কাছ থেকে তার ন্যায্য বা বৈধ সমুদ্র সীমানার অধিকার আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
২০১২ সালে জার্মানির হামবর্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের যে রায় দেন তাতে নায্যতার ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত জলসীমা পায় বাংলাদেশ।
মন্তব্য
আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমানা সম্পর্কিত খুঁটিনাটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেখকের বই পুস্তক অনুসরণ করা হয়েছে। আমি আশা করছি এ বিষয় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য গোছানোভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। এতক্ষণ ধরে এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url