জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি এবং জন্মবিরতিকরণ পিল বা বড়ির ব্যবহার সংক্রান্ত
সম্মানিত পাঠক, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি এবং জন্মবিরতিকরণ পিল বা বড়ির ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান, এই বিষয় সম্পর্কে গুগলে অনেক সার্চ করেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না, তাহলে আপনার জন্য আমার এ প্রতিবেদনটি অতি প্রয়োজনীয়।
এই প্রতিবেদনের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি, জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায়, জন্ম বিরতিকরণ পিল বা বড়ির ব্যবহার, পিল খেতে ভুলে গেলে কি করণীয়, এই পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি বিষয় সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, চলুন আমরা দেখে নিই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি।
ভূমিকা
জনসংখ্যার সমস্যা আমাদের এক নাম্বার জাতীয় সমস্যা। জাতিসংঘের একটি সংস্থার জরিপে ২০১০ এ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৬.৪৪ কোটি। নবজাতক মৃত্যুর হার হাজার.৪১ জন, পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুহার হাজার প্রতি ছেলে শিশু ৫৮ জন এবং মেয়ে শিশু ৫৬ জন।
এই বিশাল জনসংখ্যা চাপে সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বেকারত্ব অশিক্ষা বাল্যবিবাহ শিশুশ্রম প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা পরিবেশ দূষণ দুর্নীতি মানবিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে,
এক রিপোর্টে দেখা গেছে বিবাহিত দম্পতিদের একটি বিরাট অংশ জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে না। এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে কেননা জন্মবিরতিকরণের মাধ্যমে গর্ভধারণ কমানো সম্ভব এবং সাথে সাথে যৌন রোগ ছড়ানো ও কমানো যাবে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি
পরিকল্পিতভাবে মেয়েদের গর্ভধারণকে বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ বলে। বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে গর্ভধারণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা বা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা আমাদের একটি লজ্জাকর বিষয় বা গোপনীয় বিষয় হিসেবে দেখা হয় কিংবা
শুধুমাত্র বিয়ের পরের অধ্যায় হিসেবেই দেখা হয়। অথচ বিয়ের আগে বা ছাত্র-ছাত্রী থাকাকালীন সময়েই এই ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন অপরিহার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর ১৮ থেকে ২০ কোটি গর্ভধারণের মধ্যে সাড়ে সাত কোটি অনাকাঙ্ক্ষিত
বা অপ্রত্যাশিত। যার প্রধান কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার না করা। এ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের অনেক ক্ষেত্রেই এবরশন বা গর্ভপাত ঘটানো হয় যা মেয়েদের জন্য শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতির সম্পর্কে শিক্ষা থাকলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব
হতো। একটি গবেষণা দেখা গেছে দুই বছরের কম ব্যবধানে জন্মগ্রহণকৃত বাচ্চার মৃত্যুহার অনেক বেশি এবং তিন বছরের ব্যবধানে জন্মগ্রহণকৃত বাচ্চার স্বাস্থ্য পূর্বের বাচ্চা তুলনায় অনেক ভালো থাকে। মাসিক চক্রের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ( সাধারণত মাসিক শুরুর পর ১০ম হতে ১৮ তম দিনের মধ্যে)
একজন মায়ের একটি করে পরিপক্ক ডিম্বানু অবস্থান করে। এই সময়ে বাবার শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছালে ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় এবং শেখান হতে ভ্রুণ তৈরি হয়। ডিম্বানুটি শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হলে একটি নির্দিষ্ট দিনের পর মাসিকের রক্ত স্রাবের মাধ্যমে ডিম্বাণুটি নষ্ট হয়ে বের হয়ে যায়।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডিম্বানুকে পরিপক্ক হতে না দিলে অথবা ডিম্বানু ও শুক্রাণুর মিলনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে জন্মবিরতিকরণ করা সম্ভব হয়।
জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায়
নিম্নলিখিত উপায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব-
- ডিম্বানুকে পরিপক্ক হতে না দিলে, যেমন হরমোন জাতীয় ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে।
- ডিম্বানু ও শুক্রাণুর মিলনে তৈরি ভ্রুনকে জরায়ুতে গথিত হতে না দিলে, যেমন জরায়ুর ভেতর বিশেষ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করলে।
- ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে বাধা তৈরি করলে, যেমন কনডম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করলে কিম্বা বন্ধ্যাত্ব করা হলে।
উপরোক্ত একেক পদ্ধতি একেক জনের জন্য ভালো কাজ করে। প্রয়োজনে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে বিশদভাবে আলোচনা করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি তাদের জন্য নিরাপদ, সুবিধা জনক, গ্রহণযোগ্য ও লাভজনক এবং কোনোটির ব্যয় তাদের জন্য সহজসাধ্য। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব স্বামীএবং স্ত্রীর উভয়ের ই অর্থাৎ এটি একটি যৌথ দায়িত্ব।
জন্মবিরতিকরণ পিল বা বড়ির ব্যবহার
সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারলে জন্মবিরতিকরন পিলই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবচাইতে কার্যকর। এই ধরনের বইতে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টরেন নামক দুই ধরনের হরমোন থাকে যার ডিম্বাণুর পরিপক্কতাকে প্রতিরোধ করে। এই পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয়। পিল সাধারণত ২১ টি এবং ২৮ টির প্যাকেটে থাকে।
২১ টির প্যাকেটের ২১ টি ট্যাবলেটই হরমোন জাতীয় ওষুধ। ২৮টির প্যাকেটে ২১টি সাদা রঙের হরমোন ট্যাবলেট এবং ৭ টি খয়রি রঙের আয়রন ট্যাবলেট থাকে। পিল দুই ধরনের হতে পারে ১। ইস্ট্রোজেন ও প্রজেক্টরের যৌথ ওষুধ, ২। শুধুমাত্র প্রজেস্টেরন জাতীয় ঔষধ।
২১ টি পিলের প্যাকেট ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- মাসিক শুরু হবার প্রথম দিনে প্রথম পিলটি খেতে হবে।
- প্রথম পিলটি গ্রহণ করার দিনকে 'দিন ১' ধরে পরপর প্যাকেট না ফুরানো পর্যন্ত প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি করে পিল খেতে হবে।
- ২১ টি বড়ি ২১ দিনের শেষ হয়ে যাবে। ২১ দিনে একটি প্যাকেট সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেলে ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
- ৭ দিন পর আবার একই নিয়মে বড়ি গ্রহণ শুরু করতে হবে। এভাবে সাধারনত মাসিক হবার সপ্তাহটিতেই বড়ি খাওয়া বাদ পড়বে।
- মাসিক শুরু হোক বা না হোক শেষ পিলটি খাবার সাত দিন পর নতুন প্যাকেট থেকে বড়ি খেতে শুরু করতে হবে।
২৮ টি পিলের প্যাকেট ব্যবহার পদ্ধতিঃ
- মাসিকের প্রথম দিনে প্রথম পিলটি খেতে হবে। এটিও ২১ টির প্যাকেটের মতোই দিনকার বড়ি দিনেই খেতে হবে।
- ২১ টি সাদা রঙের বড়ি ২১ দিনের শেষ হয়ে গেলে তারপর ভিন্ন রঙের ৭ টি বড়ি সাত দিনে গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত এই ৭ টি বড়িতে আয়রন থাকে যা মাসিক চলাকালীন সময়ে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কাজ দিবে। এভাবে ২১+৭ = ২৮ দিনে ২৮টি বড়িই গ্রহণ করার পর দিন আবার নতুন প্যাকেট শুরু করতে হবে।
- মনে রাখতে হবে সম্পূর্ণ প্যাকেট শেষ না হওয়ার আগেই কেউ বড়ি খাওয়া বন্ধ করে দিলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য যে পিল বহুল প্রচলিত সে পিলের নাম সুখী (লেভোনরজেস্ট্রিল ১৫০ মাইক্রগ্রাম + ইথেনাইলস্ট্রাডায়াল ৩০ মাইক্রগ্রাম + ফেরাস ফিউমারেট ৭৫ মিলিগ্রাম)।
জন্মবিরতিকরণ পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয়
.১। যদি কোন কারণে একদিন পিল খেতে ভুলে যায় তবে পরদিন যখনই মনে পড়বে তখনই ভুলে যাওয়া পিলটি খেয়ে নিতে হবে। তাছাড়া ওই দিনের বিলটি ও নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। অর্থাৎ সেদিন দুটো পিল খেতে হবে।
২। যদি কোন কারণে পরপর দুইদিন পিল খেতে ভুলে যায়, তাহলে শরীরে জন্মবিরতি করণের কার্যকারিতা নাও থাকতে পারে। তাই সেদিন থেকে তিল খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে পরবর্তী মাসিক না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী মাসিকের প্রথম দিন হতেই নতুন একটি প্যাকেটের পিল দিয়ে খাওয়া শুরু করতে হবে।
জন্মবিরতিকরণ পিল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- এক এক ধরনের খাবারের পিল এক এক ধরনের মহিলার শরীরের সাথে মানিয়ে যায়।
- কোন কোন মহিলার প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ কোনো খাবার পিল খেলে সাময়িক কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
- কোন কোন মেয়েরা প্রথম প্রথম পিল গ্রহণ করলে প্রাতকালীন অসুস্থতা বোধ করতে পারেন, বমি বমি ভাব, সামান্য মাথাব্যথা, স্তন ফুলে যাওয়া বা স্পর্শ বেদনা অনুভব করা এবং গর্ভঅবস্থায় অন্যান্য লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। এছাড়া দুগ্ধদানকারী মায়ের বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
- পিল গ্রহণ কালে কারো কারো স্বাভাবিক মাসিক নাও হতে পারে, রক্তস্রাব হতে পারে। নিয়মিত কয়েক মাস পিল খেতে থাকলে এই ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।
- যেসব মহিলার ক্ষেত্রে এ ধরনের উপসর্গ দুই তিন মাসের পরেও থেকে যায়, তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের নির্দেশ মতো পরবর্তী মাসের শুরু থেকে অন্য কোন পিল খেতে হবে।
জন্মবিরতিকরণ পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেভাবে কমানো যায়
- সাধারণত তিন থেকে চার মাসের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঠিক হয়ে যায়।
- বমি বমি ভাব হলে রাতে খাবারের পর পর পিল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- বুকের দুধ খাওয়ালে প্রসাবে ছয় মাস পর হতে তিল গ্রহণ করতে হবে।
- মাসিক কয়েক মাস অনিয়মিত হলেও কয়েক মাস পর ঠিক হয়ে যায়।
- রক্তস্রাব হলে প্রতিদিন একই সময় পিল খেতে হবে।
জন্মবিরতিকরণ পিল যাদের জন্য বর্জনীয়
- যেসব মহিলা নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো রয়েছে তারা পিল খাবেন না এবং ইনজেকশনও নেবেন না।
- যাদের এক পায়ে বা নিতম্বে তীব্র এবং সার্বক্ষণিক ব্যথা রয়েছে।
- যদি কোন মহিলার স্ট্রোকের নূন্যতম লক্ষণ দেখা যায়, তিনি পিল খাবেন না।
- যাদের হেপাটাইটিস, সিরোসিস বা অন্যান্য লিভারের রোগ রয়েছে।
- যাদের স্তন বা জরায়ু ক্যান্সার আছে বা এরকম আশঙ্কা আছে তাদের পিল খেলে ক্যান্সার হয় না তবে ক্যান্সার আগে থেকে থাকলে ক্ষতি করে।
- যাদের মাইগ্রেন বা আধকপালি ব্যথা আছে।
- সক্রিয় হৃদরোগ বা হৃদরোগের ঝুঁকি যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
- অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে বা চোখে ঝাপসা দেখলে।
- পা ফোলা সহ মূত্র তন্ত্রের সংক্রমণ হলে।
- মৃগী রোগী হলে।
- পিরিয়ডকালীন সময় মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে।
জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের পূর্ব সতর্কতা
- স্তন ভালোভাবে যাচাই করে দেখতে হবে কোথাও চাকা চাকা হয়ে কোন লক্ষণ দেখা গিয়েছে কিনা, এটা প্রতি মাসেই করতে হবে।
- প্রতি মাসে একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করে নিতে হবে
- অন্য কোন রোগ বিশেষ করে মাইগ্রেন, স্ট্রোক, হার্টের অসুখ, জ্বালাসহ পা এবং নিতম্বের ব্যথা, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগ আছে কিনা।
- ৪০ বা তার বেশি বয়সী ধূমপাই বা জর্দা/তামাক সেবী হলে।
ইমারজেন্সি জন্মনিরোধক পিল
- ইমারজেন্সি কন্সট্রাসেপটিভ পিল বা মর্নিং আফটার পিল এক ধরনের হরমোন জাতীয় ওষুধ যা ইস্ট্রোজেন বা প্রজেস্টরেন অথবা উভয়ের সংমিশ্রণে পিল।
- সাধারণ খাবার বড়ির মধ্যে পার্থক্য হল এখানে হরমোনের অনেক বেশি মাত্রা ব্যবহার করা হয়। কোন জন্মবিরতিকরণ পন্থা বিফল হলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধের জন্য সহবাসের কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই বড়ি সেবন করা যায়।
- সাধারণত একক মাত্রা বা .১২ ঘন্টা ব্যবধানে দুইটি মাত্রা ব্যবহার করা হয়।
- ইমারজেন্সি জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ইউ এস এফডিএ প্রজেক্ট ইন জাতীয় ওষধ হিসেবে লেভনরজেস্টিল কে অনুমতি প্রদান করেছেন যা সহবাসের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হয়। এর কার্যকরীতা ৮৯% বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
- হরমোন জাতীয় অন্যান্য পিল বা ইনজেকশনের মতোই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে তবে বমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দূর হয়ে যায় মাসিক চক্র সাময়িকভাবে অনিয়মিত হতে পারে।
জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের সুবিধা সমূহ
- দম্পত্তির মিলনের কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি করে না।
- গর্ভধারণের ইচ্ছা হলে যেকোনো সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ত্যাগ করা যায়।
- সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কার্যকারিতার হার অনেক বেশি।
- মাসিক চলাকালীন জটিলতা কমায়।
- নববিবাহিতা এবং আপাতত সন্তান চান না এমন দম্পত্তির জন্য উপযোগী।
- গর্ভপাত বা এম আর করবার পরপরই বড়ি খাওয়া শুরু করা যায়।
- দাম কম এবং সহজলভ্য।
জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের অসুবিধা সমূহ
জন্মবিরতিকরণ পিল এর ব্যবহারে তেমন কোন অসুবিধা লক্ষ্য করা যায় না, তারপরও কিছু কিছু বিষয়ে দেখা যায় যেমন-
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ করা অনেক সময় ঝামেলা বা ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- পিল গ্রহণের প্রথম দিকে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।লেখকের মন্তব্য
লেখকের মন্তব্য
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পিল বা খাবার বড়ি যেমন সহজলভ্য তেমন নিরাপদ।খাবারপিল শুরু করার পর যদি কোন অসুবিধা যেমন মাইগ্রেন, দৃষ্টিশক্তি অথবা বাকশক্তির পরিবর্তন, পায়ে অস্বাভাবিক ব্যথা বা ভুলে যাওয়া,
বুকে তীব্র ব্যথা অথবা শ্বাসকষ্ট, চামড়ার হলুদ বর্ণ অথবা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অথবা নিকটস্থ কোনো পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আমরা এতক্ষণ ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং জন্মবিরতিকরণ পিল বা বড়ির ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, আশা করি সকলের কাজে লাগবে। আমার এ প্রতিবেদনটি এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url