বন থেকে কাঠ সংগ্রহ (Gathering) প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড
প্রিয় পাঠক, আপনি 'প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড বন থেকে কাঠ সংগ্রহ (Gathering) শীর্ষক শিরোনামে নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য বিভিন্ন লেখকের বই এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন।
আজকের এই প্রতিবেদনে প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের মধ্যে বন থেকে সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ধৈর্যের সহিত শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন, নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন ইনশাল্লাহ।
ভূমিকা
মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিন প্রকৃতি থেকে সরাসরি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আহরণ বা সংগ্রহ করে। প্রকৃতি থেকে এ ধরনের সরাসরি আহরণ বা সংগ্রহ করার কাজগুলো হল প্রাথমিক বা প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। মানুষ যখন বুঝতে পারল যে, মাটি তাদের খাদ্য দিতে সক্ষম, তখন তারা নদীর তীরবর্তী উর্বর ভূমির জঙ্গল পরিষ্কার করে এবং সেখানে গাছ লাগাই ও ফসলের বীজ বপন করে ফসল উৎপাদন করতে শুরু করে। এভাবে এক সময় যাযাবর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। এক পর্যায়ে কৃষি কাজের জন্য মানুষ পৃথিবীর সব জায়গায় বসবাস করতে শুরু করে।
সময়ের আবর্তনে মানুষ মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ নিজ প্রয়োজনে অধিকতার কার্যকর করে তুলতে থাকে। ভূপৃষ্ঠের নিচ থেকে বিভিন্ন ধাতব ও অধাতব খনিজ যেমন-কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি সংগ্রহ করে নিজের অভাব মোচন করতে সক্ষম হয়। পশু শিকার, মাছ শিকার, গাছ হতে রস সংগ্রহ, মধু সংগ্রহ, কৃষিকাজ, পশুপালন, কাঠ চেরাই, খনিজ সম্পদ উত্তোলন প্রভৃতি প্রকৃতি থেকে আহরণ বা সংগ্রহ করার কাজ। আর এসব মৌলিক কর্মকান্ড মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত, যা Red Collar Worker হিসেবে অভিহিত।
প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড বন থেকে কাঠ সংগ্রহ (Gathering)
আদিম সমাজ ব্যবস্থায় অসহায় মানুষ বনভূমি হতে বিভিন্ন বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করত। প্রথম পর্যায়ে মানুষ বনভূমি হতে ফলমূল সংগ্রহ ও পশু-পাখি শিকার করলেও আগুন আবিষ্কারের সাথে সাথে জ্বালানি কাঠ ও আহরণ করতে থাকে। বর্তমানে বনজসম্পদের সবচেয়ে সাধারণ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বনজাত দ্রব্যের সংগ্রহ। সংগ্রহকারীরা গাছের সাধারণ ডালপালা হতে শুরু করে মূল্যবান উদ্ভিদজাত পদার্থ সংগ্রহ করার জন্য বনভূমি গুলোতে অনুসন্ধান চালায়। বনজ সম্পদ আহরণে দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয় যথা-(ক) সংগ্রহ কার্য (Gathering) এবং (খ) কাঠ চেরাই (Lumbering)।
আরো পড়ুন ঃ পৃথিবীর কাঠ চেরাই অঞ্চলের বর্ণনা দাও (Lumbering)
গাছ না কেটে তা হতে রস, পাতা, বাকল, তন্তু, ফলমূল, বিচি প্রভৃতি উপজাত দ্রব্য আহরণ করাকে সংগ্রহকার্য বলা হয় যা বন শিল্পের সহজতর শ্রেণী। আবার বনভূমি হতে বিভিন্ন প্রকার কাঠ সংগ্রহ করে চেরাই এর মাধ্যমে বিভিন্ন আকৃতি বিশিষ্ট করার প্রক্রিয়াকে কাঠ চেরাই শিল্প বলা হয়।
বন থেকে সংগ্রহ (Gathering)
পশু শিকার বা মাছ শিকারের চেয়ে সংগ্রহকার্য আদিম। সংগ্রহকারীরা উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করলেও অর্থনীতির দিক থেকে মাত্র কয়েকটি মূল্যবান। নিম্নে প্রধান সরবরাহকৃত দ্রব্যের বর্ণনা দেওয়া হল-
রস/চিচিল (Chicle) ঃ
চুইংগামের গন্ধ চলে যাওয়ার পর যে অংশ পড়ে থাকে তাকে চিচিল বলে। জাপোটা (Zapota) গাছের দুধের মত রস থেকে এটি তৈরি করা হয়। মেক্সিকো ও ব্রিটিশ হন্ডুরাস থেকে ব্রাজিল পর্যন্ত অঞ্চলের ক্রান্তীয় দৃষ্টি বহুল বনভূমিতে অনেক জাপোটা গাছ জন্মায়। সাধারণত এই বনভূমি সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় চিচিল সংগ্রহ করার জন্য অনুমতি নিতে হয়। মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে বৃষ্টির ঋতুতে গাছপালা থেকে প্রচুর রস নির্গত হয় বলে ওই সময় রস সংগ্রহ করা হয়। ক্রান্তীয় আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো বর্তমানে মূল সংগ্রহের প্রায় অর্ধেক রপ্তানি করে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক দিয়ে নিজেদের দেশে চুইংগ্রাম তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে।
বন্য রাবার (Wild Rubber) ঃ
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বন্য রাবার ছিল পৃথিবীর রাবার সংগ্রহের একমাত্র উৎস। ব্রাজিলের আমাজান এবং আফ্রিকার কঙ্গো নদীর অববাহিকায় নিবিড় বনভূমি হতে এই রস সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে আবাদি রাবারের সাথে প্রতিযোগিতায় বন্য রাবার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।বালাটা
বালাটা (Balata) ঃ
বালাটা গাছ আবাদী ফসলে পরিণত হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বৃষ্টিবহুল বনভূমি থেকে পৃথিবীর বালাটা সরবরাহে বেশিরভাগ পাওয়া যায়। সেখানে অনেক এলাকাতে এটি প্রধান বনজাত উপাদান। বালাটা সংগ্রহ করা খুবই কষ্টের কাজ। প্রবল বৃষ্টি এবং নদীর পানি স্ফিত ও প্রসারিত হওয়ার সময়ই প্রধান বালাটা সংগ্রহ ঋতু। বলাটা সংগ্রহ করা, তৈরি করা এবং স্থানান্তর করার পদ্ধতিগুলো চিচিল এর অনুরূপ। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া তারের আবরণ, যন্ত্রপাতি বেঁধে রাখার বেল্ট এবং গলফ খেলার বলের আবরণ তৈরি করার জন্য বালাটা খুব প্রয়োজনীয়।
বিচি (Nut) ঃ
ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল বনভূমির অনেক কাছ থেকে যেসব বিচি জাতীয় ফল সংগ্রহ করা হয় তা দেশীয় লোকেরা খাদ্য হিসেবে ও অন্যান্য কাজের ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণে নানা প্রকার বিচি রপ্তানি করা হয়। দেশীয় লোকেরা উদ্ভিদের বিচি ও অন্যান্য অংশ রপ্তানির জন্য সংগ্রহ করে, এগুলো থেকে বিভিন্ন প্রকার তেলের সরবরাহ পাওয়া যায় এবং নিষ্কাশিত তেল সামগ্রী নানাবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়।
বাবসু পাম (Babassu Plam) ঃ
ঘনীভূত রঙের তেল শুকাবার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেখতে বাংলাদেশের কচি তালের (ফল) মত।
কোহুন নাট (Cohune Nut) ঃ
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার তাল জাতীয় ফলের এই বিচি থেকে তেল নিষ্কাশন করা হয়, যা গ্যাস মুখোশের জন্য কাঠ কয়লা বিশেষক হিসাবে কাজ করে।
আইভরি নাট (Ivory Nut) ঃ
পানামার ক্যারিবিয়ান উপকূল থেকে দক্ষিণ ইকুয়েড পর্যন্ত বিস্তৃত বনভূমি এলাকায় দেশীয় লোকেরা বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য সংগ্রহ করে। গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহের মধ্যে আইভরি নাট অন্যতম। পাখা আকৃতির ছোট পাম গাছ থেকে এই নাট গুলো পাওয়া যায়, যা প্রকৃত হাতির দাঁতের মতো দেখতে শক্ত, সাদা, সূক্ষ্ম কণা বিশিষ্ট এই নাট, গাছের গোড়ার কাছে মন্ডপূর্ণ শাঁসাল কয়েকটি নাট একসাথে বেড়ে ওঠে। এগুলো সংগ্রহ পরিষ্কার ও শুকাবার পর বণিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। বণিকরা সেগুলো প্রধানত উত্তর আমেরিকায় রপ্তানি করে। মূলত বোতাম তৈরির জন্য এগুলো ব্যবহৃত হয়।
পাম নাট (Plam Nut) ঃ
ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল বহু এলাকায় ক্রান্তীয় অধিবাসীরা বহু কাল আগে থেকেই খাদ্যের প্রধান উৎস হিসাবে পাম নাট ব্যবহার করে আসছে। পশ্চিম আফ্রিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল বনভূমির তেল পাম (Plam Oil ) । পৃথিবীর প্রধান বনজাত দ্রব্য সংগ্রহ শিল্পকে সহায়তা করে আসছে। অন্যান্য এলাকায় আবাদি ফসলগুলো বন্য শিল্পের জন্য ভীতির কারণ হলেও এখনোও পর্যন্ত ওই অঞ্চল পৃথিবীর পাম তেলে মোট রপ্তানির দুই-তৃতীয়াংশ এবং পাম তেল শাসের ১০ ভাগের নয় ভাগ সরবরাহ করে।
অবশিষ্ট ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সরবরাহ করে। আফ্রিকার পামজাত দ্রব্য রপ্তানি ক্ষেত্রে নাইজেরিয়া, কঙ্গো, সেনেগাল, আয়ভরি উপকূল, নাইজার, ভোল্ট, ডাহমি, পর্তুগিজ, আফ্রিকা ও ঘানার নাম উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর ফলপ্রদায়ী দুইটি ঋতুতে গাছগুলো প্রচুর ফসল উৎপাদন করে। পাম নাট যন্ত্রের সাহায্যে শাস থেকে যে তেল নিষ্কাশন করা হয় তা সাবান, মোমবাতি, গ্লিসারিন, কৃত্রিম মাখন এবং টিন-প্লেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
কুইনাইন (Quinine) ঃ
সিঙ্কোনা গাছের বাকল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়। ১৫০৪ মিটার বা তার কিছু বেশি উঁচু পার্বত্য ঢালে এ গাছগুলো জন্মায়। এর জন্য প্রয়োজন সারা বছর সমভাবে বন্টিত ২৩০ থেকে ৩৩০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত এবং ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের পূর্ব পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া ইকুয়েডর ও বলিভিয়া পৃথিবীর অধিকাংশ কুইনাইন তৈরি করত। প্রকৃত মূল্য বঞ্চিত হওয়ায় এবং রপ্তানি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা অনেক গাছ ধ্বংস করে ফেলে। ফলে ব্রিটিশ ও ডাচরা তাদের ভারত শ্রীলংকা ও জাভার উপনিবেশগুলোতে সিঙ্কোনা গাছ চাষ শুরু করে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ পরিচালনা করে বর্তমানে জাভা পৃথিবীর অধিকাংশ কুইনাইন সরবরাহ করে। আবাদি এলাকায় অনেক ভালো ও নিম্ন মূল্য কুইনাইন সরবরাহের সাথে প্রতিযোগিতা করে বনভূমিতে সিঙ্কোনা বাকল সংগ্রহকারীরা বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে পারেনি।
লিনালো তেল (Oil of Petit) ঃ
একপ্রকার গাছের কাঠ থেকে পাতন (Distilled) প্রক্রিয়ায় নিষ্কাশিত এই তেল সুগন্ধি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয়।
পেটটি এর তেল (Oil of Petit) ঃ
কমলা গাছের পাতা, কুড়ি ও অপুষ্ট ফলের শস্যকণা থেকে নিষ্কাশিত এই তেল সৌরভ, সুগন্ধি সাবান তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
তন্তু (Fibers) ঃ
বৃষ্টিবহুল বনভূমির সর্বত্র এবং এমনকি শুষ্ক বনভূমি ও সাভানা অঞ্চল থেকে অনেক উদ্ভিদজাত তন্তু সংগ্রহ করা হয়, যা মাদুর, ধারক, পাত্র, জাহাজের হেমাক (দোলনা বিশেষ),হেট ও অন্যান্য দ্রব্য তৈরির কাজের ব্যবহৃত করা হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর এই দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
ওষুধ (Drug) ঃ
পৃথিবীর বনভূমি গুলো বিশেষ করে উষ্ণ ভূমির বনাঞ্চলে যে ওষুধ তৈরি করা হয় তা মূলত স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উৎপাদিত বিষ ,পশু শিকার, মাছ শিকার এবং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের যুদ্ধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ছাড়াও রপ্তানি করা হয়। কোন কোন এলাকায় ঐরূপ ঔষধ উপকরণ সংগ্রহ স্থানীয় আদিবাসীদের প্রধান পেশায় পরিণত হয়েছে। যেমন কামফোর ও কুইনাইন।
ট্যানিন সামগ্রী (Tannig Material) ঃ
গাছের বাকল ও অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে পাওয়া বর্ণহীন কষকে ট্যানিন নামে অভিনীত করা হয়। অধিকাংশ উদ্ভিদ থেকে কমবেশি বিভিন্ন পরিমাণে ট্যানিন পদার্থ পাওয়া যায়, কাঁচা চামড়া পাকা করার কাজে গাছের বাকল থেকে নিষ্কাশিত কষ বা অন্যবস্তু ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চামড়ায় পচনক্রিয়া বন্ধ হওয়া ছাড়াও সেগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী, মজবুত, নমনীয় ও অভেদ্য করে তোলে।
রণতরী সামগ্রিক (Naval Store) ঃ
আগেকার দিনে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে যেসব সামগ্রী ব্যবহৃত হতো সেগুলোকে একত্রে রণতরী সামগ্রী বা Naval Store বলে। রজন পিচ আলকাতরা তারপিন প্রভৃতির রণতরী সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত। এক সময় কাঠের তৈরি জাহাজ, বড়নৌকা প্রভৃতির তক্তার জোড়াগুলোর পানি রোধ করার জন্য ব্যবহার হতো, কিন্তু বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এগুলোর কোন গুরুত্ব নেই। আজ কাল এগুলো রসায়ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
বন থেকে সংগ্রহ ও নিষ্কর্ষণের ভবিষ্যৎ ( Future of Forest Gathering and Extraction) ঃ
বন থেকে সংগ্রহ ও নিষ্কর্ষণযোগ্য সবগুলো দ্রব্যের আলোচনা করা শেষ করা সম্ভব নয়। বহু প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে ক্রান্তীয় বনভূমির অনেক উৎপাদিত দ্রব্য এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নতুন নতুন দ্রব্য গুলো আবিষ্কৃত হলে কিছুকালের জন্য সেগুলো সংগ্রহের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় অধিবাসীদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এগুলোর গুরুত্ব থাকলেও সামগ্রিকভাবে সারা পৃথিবীর জন্য সেগুলোর গুরুত্ব লাভ করতে যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হবে।
ইতিমধ্যে আবাদিভাবে বা কৃত্রিমভাবে সেসব উৎপাদন সম্ভব হলে, বনে বনে ঘুরে তার সংগ্রহ করার গুরুত্ব হ্রাস পাবে। বিজ্ঞান ভিত্তিতে উৎপাদনের সাথে যাযাবর পন্থায় সংগ্রহ কখনোই প্রতিযোগিতা করতে পারেনা। যাই হোক, ওইরুপ দ্রব্য গুলোর সব চাহিদা সব সময় আবাদী বা কৃত্রিম দ্রব্য দ্বারা কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং সংগ্রহ ও নিস্পর্ষণ প্রক্রিয়া স্বল্পমাত্রায় হলেও অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে।
উপসংহার
আমরা এতক্ষণ ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড এর মধ্যে বন থেকে সংগ্রহ (Gathering) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার করেছি। আমি আশা করছি এ বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এই বিষয় সংক্রান্ত যদি কোন সংযোজন বা বিযোজন করা প্রয়োজন মনে হয়, তবে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন। এতক্ষণ ধরে আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url