মৎস্য শিকার (Fishing) মৎস্য শিকার পদ্ধতি এবং মৎস্য শিকারের গুরুত্ব
প্রিয় পাঠক আপনি কি,প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মৎস্য শিকার,মৎস্য শিকার পদ্ধতি এবং গুরুত্ব সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী, এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য নির্ভরযোগ্য সোর্স খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
আজকের এই প্রতিবেদনে মৎস্য শিকার কি, মৎসের উৎস কোথায়, মৎস্য শিকার পদ্ধতি, মৎস্য শিকারের গুরুত্ব সহ আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। চলুন এগুলো বিস্তারিত দেখে নিই।
ভূমিকা
মাছ ধরা বা মৎস্য শিকার মানুষের একটা আদিম পেশা। আদি হতে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে মানুষ মাছ শিকার করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তবে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মাছ শিকার করে থাকে। যেমন-একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা স্থানীয় আদিবাসীদের চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ আশেপাশের নদনদী, খাল বিল, পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে মাছ ধরে। এদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যাদের প্রধান উপজীবিকাই হচ্ছে মাছ ধরা। এরা সারা বছর মাছ ধরে এবং মাছের ব্যবসা করে। আর কিছু মানুষ আছে যাদের মাছ ধরার আংশিক উপজীবিকা। এরা বছরের কিছু সময়ই মাছ ধরে বা মাছের ব্যবসা করে এবং বাকি সময় সুবিধামতো অন্যান্য কাজ করে থাকে।
আবার আরেক শ্রেণীর মানুষ দেখা যায়,মাছ ধরা বা মাছ শিকারের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্য। বিভিন্ন সাগর, মহাসাগর, নদী, হ্রদ ও অন্যান্য জলাশয় হতে মাছ ধরার মুখ্য উদ্দেশ্য হল নিয়মিতভাবে বাজারের সরবরাহ করা। পৃথিবীর প্রধান প্রধান মৎস্য ক্ষেত্রগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্গত। বাংলাদেশে মংলা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল প্রভৃতি সমুদ্র ও নদী বিধৌত অঞ্চলের মানুষ মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত আছে।
মৎস্য শিকার (Fishing)
প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস গুলোর একটি হলো মাছ বা মৎস। সুপ্রাচীন কাল হতে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় স্থান রয়েছে মাছের। শিকার মানুষের আদিম পেশা গুলোর একটি। বর্তমান সময়েও বহু সংখ্যক লোক এটিকে জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে গ্রহণ করে করেছে। শুধু খাদ্য হিসেবে নয়, সামুদ্রিক মাছ হতে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ, ভিটামিন ডি ও আয়োডিন
পাওয়া যায়। শুধু পানি হতে মাছ সংগ্রহ করাকেই শিকার বোঝায় না, সমুদ্র হতে শামুক, ঝিনুক, মুক্তা, শঙ্খ প্রভৃতি আহরণ করাকে বুঝায়। মাছ ধরার কাজ এবং মাছ নির্ভর শিল্পের সাথে বহু লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বহুমুখী কার্যকারিতার জন্য মাছ এখন মানুষের বিভিন্ন সম্পদে পরিণত হয়েছে।
মৎসের উৎস (Source of Fish)
পৃথিবীর মোট আয়তনের শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ জলরাশি দ্বারা আবৃত, যার অধিকাংশই সমুদ্র এবং বাকি অংশ নদ-নদী, খাল, বিল,ডোবা, পুকুর, হ্রদ, হাওর প্রভৃতি অন্তর্গত। এই প্রাকৃতিক উৎসগুলোকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১। মিঠা পানির মাছের উৎস-
মিঠা পানির উৎস বা অভ্যন্তরীণ উৎস বা সাদু পানির উৎস দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন জলাশয়, যেমন নদী, বিল, ডোবা, হ্রদ,পুকুর প্রভৃতি হতে যে মৎস্য ধরা হয় তাকে মিঠা পানির মৎস্য বলা হয়। যেমন কই, মাগুর, শিং, পুঁটি মাছ প্রভৃতি।
সামুদ্রিক মৎস্যকে লোনা পানির মৎস্য বলা হয়। সমুদ্রের তীর সমুদ্রের অগভীর অংশ এবং সমুদ্র চড়ায় প্রচুর পরিমাণে মৎস্য শিকার করা হয়। পৃথিবীর ধরা মৎস্যের তিন-চতুর্থাংশ সমুদ্র হতে পাওয়া যায়। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই মৎস্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
মৎস্য শিকার পদ্ধতি (Methods of Fishing)
প্রাক-ঐতিহাসিক যুগে মানুষ বর্ষা, হারপুন, বরশি, জাল প্রভৃতি ব্যবহার করে মাছ ধরত। বর্তমানকালেও এসব প্রাচীন প্রথার সাথে সাথে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কাঠ ও লোহা নির্মিত নানা আকৃতি ও গঠনের ডিঙ্গা, নৌকা ও জাহাজে করে মৎস্য শিকার করা হয়। এসব জলযান দাড়, পাল, কয়লা বা তেলের সাহায্যে চালানো হয়। প্রধানত চারটি পদ্ধতিতে মৎস্য শিকার করা হয়। যথা-
১। ভাসা জাল (Drift net) ঃ
নৌকা বা ট্রলারের সামনে পানির মধ্যে পর্দার মতো জাল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পানি উপরিভাগে বিচরণকারী হারিং মেকারেল গোষ্ঠীর যেসব মাছ ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায় সেগুলো এই জালে ধরা পড়ে।
২। ঝাঁকি জাল (Trawai net) ঃ
বড় থলির মতো জালের মুখ খোলা রেখে সেটি সমুদ্রের তলদেশের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে সমুদ্রের তলদেশে বিচরণকারী মাছ ধরা পড়ে। মগ্ন পাহাড় বা ডুবন্ত ভাঙ্গা জাহাজের সংস্পর্শে আসলে এসব জাল ছিঁড়ে যায়।
৩। বেড়া জাল (Seine net) ঃ
মাছ ধরার বেড়া জাল অনেকটা ঝাকি জালের মত হলেও আকারে বেশ ছোট এবং জেলেরা ছোট নৌকার সাথে এ জাল বেধে মাছ শিকার করতে পারে। অনেকটা ভাসা জালের মত সাগরের পানির মধ্যে উলম্বভাবে ভাসতে থাকে। মাছের ঝাঁক বেষ্টন করার পর জালে দুই পাশ টেনে কুলের দিকে নেওয়া হয়।
৪। দীর্ঘ দাড়ি (Long Line) ঃ
বড়শিতে মাছের খাদ্য গেঁথে একটি লম্বা মোটা দড়ি বা তারের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়। এই তিনটি পদ্ধতি ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে মাছ সংগ্রহের জন্য নানাবিধ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
মৎস্য শিকারের গুরুত্ব (Impotance of Fishing)
মৎস্য আমিষ জাতীয় খাদ্য। মানুষের আমিষ জাতীয় খাদ্যের যোগানদাতা হলো মৎস্য। তাই মৎস্য শিকার, মৎস্য চাষ ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য উৎপাদন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে। বর্তমানে মৎস্য শিকার একটি উল্লেখযোগ্য পেশা হওয়ায় অনেকেই মৎস্য শিল্পে নিয়োজিত রয়েছে। যদিও শিল্প হিসেবে মৎস্য শিল্পের আগমন বেশি দিনের নয় তথাপিও বর্তমানে শিল্প হিসেবে এর গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নে প্রাথমিক শিল্প হিসেবে মৎস্য শিল্পের গুরুত্ব / ভূমিকা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।
১। খাদ্য হিসেবে ঃ
মৎস্য হলো মানুষের অত্যন্ত প্রিয়, উপাদেয় ও পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য আমিষ জাতীয় উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকায় মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মূলত প্রাচীনকাল থেকে এ কারণে মানুষ খাদ্য হিসেবে মৎস্য গ্রহণ করে আসছে। আর প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণের জন্য হিমায়িত করে, টিন জাত করে, লবণ দিয়ে ও শুটকি করে মাছ সংরক্ষণ করা হয়।
২। ওষুধ তৈরি ঃ
মূলত মানুষের রোগব্যাধির জন্য বিশেষভাবে কার্যকর কিছু ঔষধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হোয়েল, কর্ড ও সার্ক মাছের তেল দিয়ে শক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি হয়।
৩। হাঁস-মুরগির খাদ্য ঃ
মৎসের অপ্রয়োজনীয় অংশ দিয়ে হাঁস-মুরগির অন্যতমানের খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। এ খাদ্যের ফলে দেশে হাঁস-মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ হয়। উন্নত দেশের হাঁস-মুরগির খামারগুলোতে এ জাতীয় খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।
৪। শিল্পের কাঁচামাল ঃ
বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে গুরুত্ব অপরিসীম। তিমি, হাঙ্গর, শীল, কড প্রভৃতি মৎস্য থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ও তেল প্রস্তুত করা হয়। গ্লিসারিন,মার্জারিন, বার্নিশ, মম, আঠা, সাবান, ছুরি, কাঁচি, চামচ ইত্যাদি তৈরিতে মৎস্য বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়।
৫। কর্মসংস্থান ঃ
অন্যান্য শিল্পের মতো প্রাথমিক শিল্প হিসাবে মৎস্য শিল্প ও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অসংখ্য লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত থেকে জীবিকা নির্ভর করে। যেমন-জাপানের ২৪ লক্ষ লোক এবং বাংলাদেশের ২০ লক্ষ লোক এ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। তাছাড়া নরওয়েতে বহু লোক মৎস্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাই নরওয়েকে ধীবরের দেশ বলা হয়।
৬। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ঃ
বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত মৎস্য এবং মৎস্যের উপজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কোন কোন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসে মৎস্য ও মৎস্য জাত দ্রব্যটি রপ্তানি করে। বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ও গালদা চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
৭। তেল উৎপাদন ঃ
প্রাথমিকভাবে তেল উৎপাদনে মৎস্য শিল্পের ব্যাপক তাৎপর্য রয়েছে। কড,শীল, তিমি, হাঙ্গর প্রভৃতি থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল ও চর্বি উৎপাদন করা হয়। এদের মধ্যে কড মাছের লিভার থেকে কড লিভার তেল এবং তিমি, হাঙ্গর, শীল প্রভৃতি মাছের চর্বি থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল পাওয়া যায়।
৮। স্যার হিসাবে ব্যবহার ঃ
মৎস্য বা এর কিছু কিছু অংশ সার কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত বিষাক্ত মৎস্য ও মৎস্যের অপ্রয়োজনীয় অংশ যেমন-কাটা, আঁশ, তেল যুক্ত অংশ প্রভৃতি দিয়ে সার তৈরি করা হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশে মৎস্য থেকে প্রস্তুত করা হয়। এ সার জমিতে প্রয়োগের মাধ্যমে চিনি, কর্পাস ইত্যাদি শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
৯। পোশাক তৈরি ঃ
তিমি মাছের চামড়া দ্বারা শীতপ্রধান অঞ্চলের লোকজন তাবু এবং শীল মাছের চামড়া দ্বারা কোট তৈরি করে শীতবস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। ইউরোপ ও আমেরিকায় এ কোট খুব জনপ্রিয়। এ কারণে প্রতিবছর মেরু অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণ কোট ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি করা হয়। এটি শীত প্রধান দেশের অধিবাসীদের আয়ের অন্যতম উৎস।
১০। সৌখিন দ্রব্যাদি তৈরি ঃ
বিভিন্ন মাছের আঁশ, লেজ, চামড়া, হাড় ও দাঁত দ্বারা নানা ধরনের সৌখিন জিনিসপত্র যেমন-আসবাবপত্র, কলমদানি, চিরুনি, আয়নার ফ্রেম, সাইদানি, জায়নামাজ, ওয়ালমেট, চাবুক, ছড়ি,মালা, চুরি ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এছাড়া ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রজাতির রঙ্গিন মাছ একুরিয়ামে পালন করা হয়।
১১। নৌকা তৈরীর উপকরণ ঃ
মাছের চামড়া ও হাড় নৌকা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শীল মাছের চামড়া দিয়ে 'কায়াক' নামক নৌকা তৈরি করা হয়। গ্রিনল্যান্ডের এক্সিমো অধিবাসীদের সমুদ্রে মৎস্য শিকারের এটাই প্রধান পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১২। মৎস্য শিল্পের উপজাত ঃ
সমুদ্রে মৎস্য শিকার করতে গিয়ে জেলেরা মুক্তা ঝিনুক, প্রবাল, স্পঞ্জ, শামুক, শঙ্খ প্রভৃতি পেয়ে থাকে। এগুলোকে মৎস্য শিল্পের উপজাত দ্রব্য বলা হয়। এ ধরনের দ্রব্যের যথেষ্ট অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তা দ্বারা মূল্যবান সৌখিন গহনা, শঙ্খ দ্বারা চুরি, শামুক ও ঝিনুক দ্বারা আংটি, সাইদানি, সার ও চুন তৈরি করা হয়।
১৩। জাতীয় আয় ও জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন ঃ
জাতীয় আয় ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মৎস্য শিল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়েসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৎস্য শিল্পের মাধ্যমে তাদের জাতীয় আয়কে সমৃদ্ধ করেছে, যা জীবনযাত্রার মানউন্নয়নের অন্যতম নিয়ামক শক্তি।
১৪। দারিদ্র দূরীকরণ ঃ
দারিদ্র বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম সমস্যা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই সমস্যায় জর্জরিত। দারিদ্র দূরীকরণে মৎস্য শিল্প বিশেষ ভূমিকা রাখছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মানুষ মৎস্য শিল্পের মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য দূর করছে। এতে করে এটি দারিদ্র দূরীকরণের অন্যতম মাধ্যম পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের মানুষের ব্যবহারিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তি হিসেবে মৎস্য শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবিকা অর্জনের উপায় হিসেবে মৎস্য শিল্পের গুরুত্ব ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
উপসংহার
এতক্ষণ ধরে আমি, প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে মৎস্য শিকার সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করেছি। আশা করছি এ বিষয় সম্পর্কিত পুরোপুরি তথ্য বুঝতে পেরেছেন। এর সম্পর্কিত বিষয়ে যদি আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকে তবে, কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন। এতক্ষণ ধরে এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url