পৃথিবীর গতি কি এবং আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ফলাফল সমূহ

  সম্মানিত পাঠক, আপনি কি পৃথিবীর গতি এবং আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ফলাফল সম্পর্কে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য জানার জন্য আগ্রহী? তাহলে আপনার জন্য এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত জরুরী। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

পৃথিবীর গতি এবং আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ফলাফল

আজকের এই প্রতিবেদনে, পৃথিবীর গতি কি, পৃথিবীর গতি কত প্রকার, আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি কাকে বলে, আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ফলাফল এবং আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির মধ্যে পার্থক্য সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন প্রতিবেদনটি পড়তে থাকুন।

পৃথিবীর গতি (The Movements of the Earth) 

সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্রের মতো ও পৃথিবী তার নিজের মেরুরেখা বা মেরুদন্ডের উপর নির্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে চলেছে। পৃথিবীর এই আবর্তনকে পৃথিবীর গতি বলে।

পৃথিবীর গতির একটি দৃশ্য

পৃথিবীর পরিক্রমণ পথের মোট দূরত্ব ৫৮ কোটি মাইল। পথটি উপবৃত্তাকার হওয়ায় পৃথিবী কখনো সূর্যের কাছে, আবার কখনো সূর্য থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করে। সূর্যের এই কাছের অবস্থানকে বলে অনুসুর এবং দূরের অবস্থানকে বলে অপসুর, কক্ষপথের পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার বেগে অবসর হয়।

অপসুর এবং অনুসুর এর দৃশ্য

পৃথিবীর নিজ অক্ষে স্থির থেকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে আবার একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। সুতরাং এই কারণেই জ্যোতিষ বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর এই গতিকে দুইটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথা-

১। আহ্নিক গতি (Durinal Motion) এবং

২। বার্ষিক গতি (Annual Motion)

আহ্নিক গতি বা আবর্তন গতি (Durinal Motion)

পৃথিবী তার নিজ অক্ষের বা মেরুদন্ডের চারিদিকে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে অবিরাম ঘুরছে বা আবর্তন করছে। পৃথিবীর এই গতিকে আহ্নিক গতি বা দৈনিক গতি বলে। আহ্নিক গতি সংঘটিত হতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড। তবে এ সময়কে মোটামুটি ভাবে ২৪ ঘন্টা বা ১ দিন হিসেবে ধরা হয়।

আহ্নিক গতির দৃশ্য

সংক্ষেপে বলা যায়, প্রতিদিনে পৃথিবী নিজেকে একবার সম্পূর্ণভাবে আবর্তন বা ঘুরায় বলে একে আহ্নিক গতি বলে। কারণ আহ্ন কথাটির অর্থ হলো দিন, এর থেকেই নামকরণ করা হয়েছে আহ্নিক গতি। যেহেতু সূর্যকে সামনে রেখে পৃথিবী একবার সম্পূর্ণরূপে আবর্তন করে, এইজন্য এ সময়কে সৌরদিন বলে।


পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রতি ঘন্টায় ১৬১০ কিলোমিটারের ও বেশি। যেহেতু পৃথিবীর আকৃতি ঠিক গোলাকার নয় (অভিগত গোলক) পৃথিবী পৃষ্ঠের পরিধি সর্বত্র সমান না হওয়ায় পৃথিবী পৃষ্ঠের সকল স্থানের আবর্তনের বেগ ও সমান নয়। নিরক্ষরেখার পরিধি সবচাইতে বেশি বলে এই রেখাতে পৃথিবীর

আবর্তন বেগ সর্বাধিক যা ঘণ্টায় ১৬১০ কিলোমিটার এর বেশি। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর ও দক্ষিণে এই গতির বেগ ক্রমশ কমতে থাকে বলে উভয়ের মেরুতে এই গতির প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। পৃথিবীর আহ্নিক গতি-বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্র স্রোত, দিবারাত্রি সংঘঠন ও হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।

আহ্নিক গতি বা আবর্তন গতির ফলাফল (The results of Rotation):

আহ্নিক গতির ফলে যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

১। দিনরাত্রি সংঘটনঃ

পৃথিবীর আহ্নিক গতির একটি উল্লেখযোগ্য ফলাফল হলো দিনরাত্রি সংঘটিত হওয়া। আমরা জানি, পৃথিবীর গোলাকার এবং এর নিজের কোন আলো নেই। সূর্যের আলোতে পৃথিবী আলোকিত হয়। আবর্তন গতির জন্য পৃথিবীর যেদিক সূর্যের সামনে আসে এবং সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়, তখন ওই আলোকিত স্থানকে দিন বলা হয়।

আলোকিত স্থানের উল্টোদিকে অর্থাৎ পৃথিবীর যে দিকটা সূর্যের বিপরীত দিকে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না সেদিকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে, এইসব অন্ধকার স্থানে তখন রাত্রি সংঘটিত হয়। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে আলো পাওয়া দিকটা অন্ধকারে এবং অন্ধকারের দিকটা সূর্যের দিকে বা আলোকিত স্থানে চলে আসে, ফলে দিনরাত্রি পাল্টে যায়।


পৃথিবী আবর্তনের ফলে কোন স্থানে ১২ ঘণ্টা দিন এবং কোন স্থানে ১২ ঘন্টা রাত্রি হয়। পৃথিবী যদি আবর্তন না করতো তাহলে পৃথিবীর অর্ধেক শুধু চিরদিন এবং বাকি অর্ধেক শুধু চির রাত্রি হত। পৃথিবীর গোলাকার না হয়ে যদি সমতল হত, তাহলে আবর্তনের ফলে পৃথিবীতে শুধুমাত্র দিন অথবা শুধুমাত্র রাত্রি হতো। অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীতে একসঙ্গে রাত ও একসঙ্গে দিন হতো।

কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর একদিকে রাত, অপরদিকে দিন হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর একদিকে আলোকিত থাকে, অপরদিকে অন্ধকার থাকে। পৃথিবীর এই আলোকিত অংশ ও অন্ধকার অংশের সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে।

ছায়াবৃত্ত, সন্ধ্যা ও প্রভাত, ঊষা ও গোধূলি, মধ্যরাত্রি এবং মধ্যাহ্ন এর দৃশ্য

আহ্নিক গতি বা আবর্তনের ফলে পৃথিবীর যে অংশে অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত পার হয়ে সবে মাত্র আলোকিত অংশে পৌঁছায় সেই অংশে হয় প্রভাত, এরপরে সূর্যোদয় ঘটে। আর যে অংশে আলোকিত অংশ থেকে ছায়াবৃত্ত অতিক্রম করে অন্ধকারে পৌঁছায় সে অংশ হয় সন্ধ্যা

প্রভাতের কিছুক্ষণ পূর্বে যে ক্ষীণ আলো দেখতে পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ঊষা, তেমনি দিনের শেষে সূর্য ডুবে যাওয়ার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পূর্বে যে সময় ক্ষীণ আলো থাকে সে সময়কে বলা হয় গোধূলি। কোন স্থানের সূর্য যখন মধ্য আকাশে অবস্থান করে, তখন ওই স্থানে দুপুর ১২টা বা মধ্যাহ্ন, আর এই স্থানের ঠিক বিপরীত দিকে তখন মধ্যরাত্রি

২। সূর্য কিরণের তারতম্য সৃষ্টিঃ

পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি ও এর আবর্তনের ফলে সূর্য কিরণ পৃথিবীর ক্রান্তীয় অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র অংশে ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত বছরের কিছু সময় লম্বভাবে পতিত হয়। যে অংশের লম্বভাবে কিরণ পরে সে অংশ বেশি উত্তপ্ত হয়। এবং উত্তর বা দক্ষিণে সূর্যকিরণ তির্যকভাবে পড়ে এবং এসব অঞ্চল কম উত্তপ্ত হয়।

৩। সমুদ্রস্রোত, জোয়ার-ভাটা ও বায়ু প্রবাহের গতি বিক্ষেপঃ

আহ্নিক গতির ফলে আবর্তন শক্তির সৃষ্টি হয়। এর ফলে ভূপৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তিত হয়। ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী সমুদ্র স্রোত ও বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের এই দিক পরিবর্তনের সূত্রটি ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত।

৪। সময় গণনার সুবিধাঃ

আহ্নিক গতির ফলে আমরা সময়ের হিসাব করতে সুবিধা পায়। পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে সৃষ্ট মোট আবর্তনকালকে 24 ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে এক ঘন্টা সময় ধরা হয়, আবার ১ ঘন্টাকে ৬০ মিনিটে ও এক মিনিটকে ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়েছে। এভাবেই পৃথিবীর এই গতি থেকে ঘন্টা মিনিট এবং সেকেন্ডের হিসাব বের করা হয়, এবং দিন ও রাত্রি সময় গণনা করা হয়।

৫। প্রকৃতি ও জীবজন্তুর ওপর প্রভাবঃ

পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলেই দিনরাত্রির উষ্ণতার পার্থক্য ও তারতম্য,বায়ুপ্রবাহ, জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। আবার এগুলোর কারণে পৃথিবীর পৃষ্ঠে বায়ুর চাপের পার্থক্য এবং ঘূর্ণিপাতের সৃষ্টি হয়, জলীয় বাষ্প, মেঘ ও বৃষ্টির সৃষ্টি হয়। এতে পৃথিবীর পৃষ্ঠের জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়।


আহ্নিক গতি না থাকলে কোন কোন স্থানে চির অন্ধকার থাকতো, ফলে গাছপালা কিছুই জন্মাতো না। আবার কোন স্থানে সূর্যরশ্মি পড়ে উত্তাপে সবকিছু মরু প্রায় হয়ে যেত। অতএব আহ্নিক গতির ফলেই পৃথিবীপৃষ্ঠে জীব মন্ডল তথা উদ্ভিদ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়।

বার্ষিক গতি (Annual Motion)

পৃথিবী আমাদের সৌরজগতের একটি গ্রহ হওয়ায় এটি অবিরাম ভাবে উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে পরিক্রমণ করছে। এই পরিক্রমণ পূর্ণ হতে পুরো এক বছর সময় অতিবাহিত হয়। এ জন্য এই গতিকে বার্ষিক গতি বলে। একটি পূর্ণ বার্ষিক গতির ফলে একটি সৌরবছর অতিবাহিত হয়।

পৃথিবীর বার্ষিক গতির দৃশ্য

বার্ষিক গতির গড় বেগ ঘন্টায় ১,০৬,২৬০ কিলোমিটার। একটি পূর্ণ বার্ষিক গতি সম্পন্ন করতে পৃথিবীর মোট ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় লাগে। বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন এবং দিবারাত্রি হ্রাস বৃদ্ধি হয়।

অধিবর্ষ (Leap year)

সাধারন হিসাবে ৩৬৫ দিনে এক বছর ধরা হয়। কিন্তু পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে পরিক্রমণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। এতে করে গণনা করে দেখা যায় প্রতি ৪ বছরে একদিন কম হয়। ফলে বাকি ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড বা প্রায় ৬ ঘন্টার হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি ৪ বছর পর পর (৬X৪) ২৪ ঘন্টা বা ১ দিন বাড়িয়ে ৩৬৬ দিনে বছর গণনা করা হয়।

এই বছরকে অধিবর্ষ (Leap year) বা লিপীয়ার বলা হয়। এজন্য অধিবর্ষের ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত ১ দিন বাড়িয়ে অসমতা দূর করা হয়। সেই কারণে অধিবর্ষের ফেব্রুয়ারি মাসের সংখ্যা ২৮ দিনের পরিবর্তে ২৯ দিন গণনা করা হয়।

বার্ষিক গতির ফলাফল (Result of Annual Motion)

পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে দৃশত দুইটি ঘটনা ঘটে, এর ফলে মূলত দিবারাত্রি হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে এবং ঋতু পরিবর্তন বা ঋতু বৈচিত্রতা ঘটে। নিম্নে বার্ষিক গতির ফলাফল বর্ণনা করা হলো-

১। দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধিঃ

বার্ষিক গতির ফলে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ কালে পৃথিবী নিজ অক্ষে সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি কোণে হেলে সর্বদা স্থান পরিবর্তন করে। এই কারণে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের স্থান ঠিক থাকে না বলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিবা-রাত্রীর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।

২। ঋতু পরিবর্তন হয়ঃ

বার্ষিক গতির ফলে সূর্য কিরণ পৃথিবীর কোন কোন স্থানে তির্যকভাবে আবার কোন কোন স্থানে লম্বভাবে পড়ে। ফলে দিনরাত্রি ছোট বড় হয়। এই উভয় কারণে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রার তারতম্য ঘটার ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।

৩। উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু হেলে থাকেঃ

বার্ষিক গতির ফলে কখনো উত্তর মেরু আবার কখনো দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে হেলে থাকে।

৪। সূর্যোদয়ের স্থান পরিবর্তনঃ

বার্ষিক গতির ফলে ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয় এবং বছরের অন্যান্য সময় কিছু উত্তরে বা দক্ষিণে সরে পৃথিবীতে কিরণ দেয়।

৫। দূরত্বের পরিবর্তনঃ

বার্ষিক গতির ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের পরিবর্তন হয়। ১ জানুয়ারিতে সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এবং ১ জুলাই সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে দূরত্বে অবস্থান করে।

আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির মধ্যে পার্থক্য (Difference Between tha Duranal Motion & Annual Motion)

পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির মধ্যে পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হলো-

ক্র নং

আহ্নিক গতি

বার্ষিক গতি

আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর তার নিজ অক্ষে সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি কোণে হেলে দাড়িয়ে দিনে একবার ঘুরে আসে

এই গতিতে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে বছরে একবার সূর্যের চারিদিকে ঘুরে আসে।

এই পথে পৃথিবীর সম্পূর্ণরূপে ঘুরতে সময় লাগে ২৪ ঘন্টা ( মূলত ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড )।

এই গতিতে পৃথিবীর সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।

    আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে দিন ও রাত্রি সংঘটিত হয়।

এই গতির ফলে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয়, দিন ও রাত্রির  হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।

আহ্নিক গতির ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটে।

বার্ষিক গতির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিন ও রাত্রির  হ্রাস বৃদ্ধির ফলে সেসব স্থানগুলোতে উত্তাপের  হ্রাস-বৃদ্ধি  ঘটে।

  আহ্নিক গতির ফলে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়।

বার্ষিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়।

আহ্নিক গতির ফলে কোন স্থানের স্থানীয়  সময়ের সাথে অন্য একটি স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য দেখা যায়।

বার্ষিক গতির ফলে কোন একটি স্থানের বিভিন্ন ঋতুতে সময়ের পার্থক্য ঘটে।


মন্তব্য,
আমি আশা করছি, আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে পৃথিবীর গতি, আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি এবং আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ফলাফল সম্পর্কে এছাড়াও আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির মধ্যে পার্থক্য বিস্তারিত তথ্য পরিপূর্ণভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে যদি কোন মন্তব্য থাকে, নিচে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবেন। সর্বদাই নিজের খেয়াল রাখবেন, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url