মানচিত্রের সংজ্ঞা এবং মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ সমূহ বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মানচিত্রের সংজ্ঞা এবং মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ সমূহ বিস্তারিত বর্ণনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চাচ্ছেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের বই অনুসন্ধান করছেন অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন? তাহলে আপনার জন্য এই প্রতিবেদনটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।

মানচিত্রের সংজ্ঞা এবং মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ সমূহ বিস্তারিত

আজকের এই প্রতিবেদনে মানচিত্রের সংজ্ঞা, মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ, স্কেল ভিত্তিক মানচিত্র, বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র এবং তথ্যভিত্তিক মানচিত্র এদের বর্ণনা সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। চলুন এবার জেনে নিন বিস্তারিত তথ্যগুলি।

ভূমিকা

নির্দিষ্ট স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে প্রচলিত সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে সমতল কাগজের উপর অঙ্কিত সমগ্র পৃথিবী বা কোন বিশেষের প্রতিরূপ কে মানচিত্র বলে। তাই কোন স্থানের ভৌগোলিক আলোচনার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন মানচিত্রের।
সুতরাং মানচিত্র ভূগোল শাস্ত্রের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ যার অংকন, রূপায়ণ ও পাঠন জ্ঞান ভূগোলবিদদের জন্য একান্তই আবশ্যক এবং এটিই হচ্ছে ব্যবহারিক ভূগোলের প্রধান আলোচ্য বিষয়।

মানচিত্রের সংজ্ঞা (Definition of Map) 

ল্যাটিন শব্দ ম্যাপ্প (Mappa) থেকে ম্যাপ শব্দটি উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ মানচিত্র। সাধারণ অর্থে মানচিত্র বলতে বড় আকারের কোন এলাকার প্রতিকৃতিকে বোঝায়। নির্দিষ্ট স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত সাংস্কৃতিক চিহ্ন ব্যবহার করে সমতল কাগজের ওপর অংকন করা সমগ্র পৃথিবী কিংবা এর কোন অংশের অবিকল প্রতিকৃতিকে মানচিত্র বলে। 

মানচিত্রের সংজ্ঞা বলতে হলে মানচিত্র হল পাঠক এবং পৃথিবীর মধ্যে সেতুবন্ধনের একটি প্রধান মাধ্যম।মানচিত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাপ্ত বিভিন্ন চিহ্ন প্রদর্শন করা হয়। 

প্রখ্যাত ভূগোলবিদ ওয়েবস্টার মানচিত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন যে, প্রচলিত সাংকেতিক চিহ্ন নির্দিষ্ট স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে সমতল কাগজের উপর অঙ্কিত সমগ্র পৃথিবী অথবা কোন অংশ অথবা নভোমন্ডলের প্রতিকৃতিকে মানচিত্র বলে।
আবার অন্যভাবে তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী বা তার কোন অংশ বিশেষের নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে অংকন করা হলে তাকে মানচিত্র বলে।

মানচিত্রে একমাত্র দেশ বা দেশের সীমা, পর্বত, মালভূমি, ভূমির বন্ধুরতা, নদ-নদী, বনভূমি, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয় না বিভিন্ন অঞ্চলের রেলপথ, সড়ক পথ,বিমানপথ এবং সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত এবং সমুদ্র স্রোত, এবং স্থানীয় মানচিত্রে গির্জা, মসজিদ, মন্দির, কবরখানা প্রভৃতি ও মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।

মানচিত্রের শ্রেণীবিভাগ সমূহ (Classification of Maps):

অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় দেখাবার উদ্দেশ্যে মানচিত্র অংকন করা হয়। যেসব বিষয় মানচিত্র দেখাতে হবে সেগুলোর তথ্যের পর্যাপ্ততার উপর মানচিত্রের আকৃতি নির্ভর করে। বিভিন্ন বিষয় একটি মানচিত্রের উপর দেখালে সেগুলো বিজড়িত রূপ আমাদের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
এজন্য স্বতন্ত্র বিষয়গুলো ভিন্ন ভিন্ন মানচিত্রে বিস্তারিতভাবে দেখানো ভূগোলবিদদের সাধারণ রীতিতে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়াদির মানচিত্র কে প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
(ক) স্কেল ভিত্তিক মানচিত্র (Scale Basis Maps) ,
(খ) বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র (Subjects Basis Maps) ,
(গ) তথ্যভিত্তিক মানচিত্র (Data Based Maps) ।

(ক) স্কেল ভিত্তিক মানচিত্র (Scale Basis Maps) 

মানচিত্র অংকনের পূর্বে স্কেল নির্ণয় করা আবশ্যক। স্কেল বা মাপ ব্যতীত কোন দেশ বা অঞ্চলের মানচিত্র অঙ্কন করলে তা মানচিত্র নয়- নকশা হিসেবে পরিগণিত হবে। অংকন করার দেশের বা অঞ্চলের আকার আয়তন তথ্য ও বিষয়ের প্রকাশ করা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অথবা সাধারণ ও সামগ্রিকভাবে তা নির্ভর করে মানচিত্রের স্কেল বা মাপনীর উপর।


মানচিত্রে যে স্কেল বা যে পরিমাপ নেওয়া হয় তার পার্থক্য অনুসারে মানচিত্র ২ প্রকার। যথা-
১। ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র (Small Scale Maps),
২। বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র (Large Scale Maps)।

১। ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র (Small Scale Maps) ঃ

একটি বৃহৎ অঞ্চলকে ক্ষুদ্র বা স্বল্প পরিসরে অংকন করে দেখানোর জন্য ক্ষুদ্র স্কেল ব্যবহার করে যে মানচিত্র অঙ্কন করা হয় তাকে ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র বলে। এই স্কেল দ্বারা মাইলে ইঞ্চি বা ইঞ্চিতে মাইল কিংবা কিলোমিটারে সেন্টিমিটার বা সেন্টিমিটারে কিলোমিটার দেখানো হয়।
অর্থাৎ মানচিত্রে দৈর্ঘ্য পরিমাপকের ক্ষুদ্রতম একক ভূমিতে বৃহত্তম এককে প্রকাশ করা হয়। এ মানচিত্রে স্কেল ১ সেন্টিমিটার থেকে কয়েকশো কিলোমিটার বা এক ইঞ্চিতে এক মাইল থেকে কয়েকশ মাইল পর্যন্ত হতে পারে।
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র কে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(I) আন্তর্জাতিক মানচিত্র (International Maps) :

বিভিন্ন দেশের সহযোগিতায় অনুরূপ আকার ও আয়তন বিশিষ্ট বিভিন্ন খন্ড কাগজে একই স্কেলে ও একই প্রণালীতে সমগ্র পৃথিবীর মানচিত্র অংকন করার পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক মানচিত্র বলে। এই মানচিত্রের স্কেল (প্রতিভু অনুপাত) প্র. অ. ১ঃ ১০০০০০০ প্রকাশ করা হয়। এই মানচিত্রে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক অবয়বগুলো দেখাবার জন্য আন্তর্জাতিক সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

(II) দেওয়াল মানচিত্র (Wall Maps) :

যে মানচিত্রে সমগ্র পৃথিবী বা কোন মহাদেশ বা কোন দেশের মানচিত্র অংকন করা হয়, তাকে দেওয়াল মানচিত্র বলে। এ ধরনের মানচিত্র সাধারণত আকারে বড় হয়। এ ধরনের মানচিত্রে প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিষয় ভিত্তিক হয়ে থাকে। এ মানচিত্র মূলত শ্রেণীর কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষাদানের জন্য তৈরি হয়। 
এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি অফিসে, সামরিক দপ্তরে ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে দেয়াল মানচিত্র ঝুলানো থাকে। তাৎক্ষণিক কোন বিষয়বস্তুর সম্পর্কে জানার জন্য দেয়াল মানচিত্রের আকার প্রয়োজনবোধে বড় বা ছোট করে ব্যবহার করা হয়। এ মানচিত্রের স্কেল সাধারণত ১ ইঞ্চিতে ১০০ মাইল, এক ইঞ্চিতে ২০০ মাইল, এক ইঞ্চিতে ৩০০ মাইল।

(III) ভূ-চিত্রাবলী মানচিত্র (Atlas Maps) :

ভূ-চিত্রাবলী মানচিত্র হলো ক্ষুদ্র স্কেলে কতগুলো মানচিত্রের সংকলন গ্রন্থনা। এরূপ মানচিত্রের সমগ্র পৃথিবী, গোলার্ধ, মহাদেশ, দেশ বা দেশের অংশ বিশেষ কাগজের ক্ষুদ্র পরিসরে অঙ্কন করা হয় বলে এই মানচিত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি জলবায়,উদ্ভিজ্জ, অর্থনৈতিক কার্যকলাপের অবস্থা সম্পর্কে চিত্র উপস্থাপন করা যায়।
এছাড়াও এর মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গসহ প্রধান রেলপথ ও সড়ক পথ গুলো দেখানো যায়। এরূপ মানচিত্র সাধারণত প্র . অ . ১ঃ ১০০,০০০ হতে ১,০০০,০০০ স্কেলে অংকন করা হয়। ভূ-চিত্রাবলী মানচিত্রের উদাহরণ হিসেবে বলা অক্সফোর্ড স্কুল আটলাস, গ্রাফোসম্যানের ভূ-চিত্রাবলী, আধুনিক ভূ-চিত্রাবলী, মানচিত্রে বাংলাদেশ ও পৃথিবী, আধুনিক ভূ-চিত্রাবলী প্রভৃতি অন্যতম, আর এসব ভূ-চিত্রাবলীতে মানচিত্র অঞ্চলের জন্য স্কেল অনুসরণ করা হয় এক ইঞ্চিতে ২৫ মাইল থেকে এক ইঞ্চিতে ৫০০ মাইল পর্যন্ত।

(IV) বিমান চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র (Aeronautical Maps) :

যেসব মানচিত্রে বিমানবন্দরসহ বিমান পথ দেখানো হয়, তাকে বিমান চালানোর সংক্রান্ত মানচিত্র বলে। আর এরূপ মানচিত্রে এগুলো দেখানোর জন্য বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়। বিমান চালানোর জন্য সঠিক দিক নির্দেশ গুরুত্ব বহন করে বলে এই মানচিত্রে বিয়ারিং ব্যাপক অভিক্ষেপ অংকন করা হয়। 
পৃথিবীর বিমান পথ গুলো দেখাবার জন্য মার্কেটের ও বিক্ষেপ ও উত্তর গোলার্ধের বিমানগুলো দেখানোর জন্য মেরু স্থানীয় শীর্ষ দেশীয় নোমোনিক অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়। এরূপ মানচিত্রে সমন্বিত রেখাগুলো বাদামি রং, বনভূমি গুলো সবুজ রং, সমভূমিকে হালকা সবুজ রং, শহর নগর গুলো উজ্জ্বল
হলুদ রং, বন্দর গুলো রক্ত-বেগুনি এবং হ্রদ, নদী, সমুদ্র দেখাবার জন্য নীল রং ব্যবহার করা হয়।
 বিমানবন্দর ও বিমান পথ গুলো দেখানোর জন্য লাল রং ব্যবহার করা হয়। অন্যতম বিমান পথ, বিমানবন্দর, বিমান ধারণপথ, সাংকেতিক বাতি, বেতার যন্ত্র প্রভৃতি সহায়ক জিনিসগুলো উজ্জ্বল লাল রং এই মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়।

(V) নৌ-চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র (Navigational Chart) :

জল পথে নৌযান চালানোর জন্য সমুদ্রপথ উপকূলীয় ভূমি গভীর সমুদ্র থেকে বা দূর সমুদ্র থেকে নজরে আসে বা দেখা যায় এইরকম বাতিঘর, দুর্গা-গির্জা, উঁচু পাহাড় ইত্যাদি মানচিত্রে দেখিয়ে যে ধরনের মানচিত্র আঁকা হয় তাকে নৌ চালানো চার্ট বলে। আবার এই ধরনের মানচিত্রে সাগরের গভীরতা, সাগরের তলদেশের ভূপ্রকৃতি বা উঁচু হয়ে থাকা পাহাড়, মগ্নচড়া, জোয়ার-ভাটার ও সমুদ্র স্রোতের স্থানসমূহ প্রভৃতি নির্দেশ দেওয়া থাকে।

২। বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র (Large Scale Maps) ঃ

কখনো কখনো বৃহৎ স্কেলের সাহায্যে ক্ষুদ্র এলাকাকে অনেক বড় করে মানচিত্রে অংকন করা হয় তখন ওই মানচিত্রকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলে। যেমন-এক ইঞ্চিতে ১৬ মাইল নির্দেশ করে আবার ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল নির্দেশ করে। কোন বড় শহর বা নগর, উপশহর বা বাজার এলাকা, ঘরবাড়ি, নীল নকশা, মৌজা মানচিত্র, স্থানীয় বৈচিত্র্যময়ী মানচিত্র প্রভৃতি এই শ্রেণীর মানচিত্র। 
বৃহৎ স্কেলের মানচিত্রে ও নকশাই তথ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপস্থাপন ছাড়াও ভূমির সঠিক চিত্র তুলে ধরা,হয়। বৃহৎ স্কেলের মানচিত্রের একটি বড় বৈশিষ্ট্য তা হল কোন অভিক্ষেপ ছাড়াই মানচিত্র অংকন করা যায়।
স্কেলের মানচিত্রে কে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যথা-

(I) নীল নকশা (Blue Print Plan) :

বাড়ি, দালান,বাণিজ্যিক এলাকা, বহুতল ভবন, প্রভৃতি পরিকল্পিতভাবে তৈরির জন্য নীল নকশা তৈরি করা হয়। এর স্কেল নির্দেশ থাকে ১ঃ ৫০০ নতুবা এক ইঞ্চিতে ৮ ফুট। এরূপ নকশা দেখে যে কোন প্রকৌশলী এমনকি একজন অভিজ্ঞ রাজমিস্ত্রি এ বহুতল ভবন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইট, বালি, সিমেন্ট, রড প্রভৃতি কি পরিমানে লাগবে তা বলে দিতে পারে।

(II) মৌজা মানচিত্র (Cadastral Maps) :

একটি দেশের প্রতিটি শহর বা গ্রামের জমি জরিপ বিভিন্ন ভূ-সম্পত্তি, কৃষি জমি, অকৃষি জমি, বাগান, মাঠ, ঘাট, পুকুর, ডোবা এমনকি গ্রাম ও শহরের ঘরবাড়ি দালান কোঠা ইত্যাদি সীমানা চিহ্নিত করে যে মানচিত্র অঙ্কন করা হয় তাকে মৌজা মানচিত্র বলে। 
এই মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর জমির মালিকানা চিহ্নিত করা বা নথিভুক্ত করা হয় এজন্য এই মানচিত্র কে সম্পত্তি জরিপ মানচিত্রও বলা হয়। একটি দেশের সরকার তার সরকারি জরিপ বিভাগের পারদর্শী কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিয়ে দেশের সমগ্র জমি জরিপ করে এই মানচিত্র তৈর করে।

(III) স্থানীয় বৈচিত্র সূচক/ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র (Topographical Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে প্রচলিত সাংকেতিক চিহ্ন বিশিষ্ট সমন্বিত রেখার বিন্যাস ভূ-প্রকৃতি, পানি নিষ্কাশন প্রণালী, জলাভূমি, গ্রাম, শহর, বনভূমি, পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতি সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা দেওয়া হয়, তাকে স্থানীয় বৈচিত্র্য সূচক বা ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র বলে। ভূগোলবিদদের নিকট এই ধরনের মানচিত্র সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানচিত্র বলে বিবেচিত।

(IV) থানা মানচিত্র (Thana Maps) :

যে মানচিত্রে একটি থানার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামের সীমানা দিক বিভিন্ন বস্তুর মধ্যবর্তী দূরত্ব ও বসতি এলাকাসহ বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সুক্ষভাবে প্রকাশ পায় তাকে থানা মানচিত্র বলে। এ ধরনের মানচিত্রের স্কেল ১৪ ইঞ্চিতে এক মাইল ধরা হয়।

(V) এলাকা মানচিত্র (Country Maps) :

একটি দেশের জেলা বা প্রদেশের মানচিত্র এই ধরনের। যে মানচিত্রে একটি জেলার বিভিন্ন থানার সীমানা, রাস্তা, শহর, বন্দর, হাট-বাজার, গঞ্জ, এলাকা প্রভৃতি সাংস্কৃতিক তথ্য সন্নিবেশিত হয় বা প্রকাশ পায় তাকে এলাকা মানচিত্র বলে।

(খ) বিষয় ভিত্তিক মানচিত্র (Subjects Basis Maps) 

যে মানচিত্রে ভৌগোলিক বিষয়বস্তু ও উপাত্ত সহজে বোঝানোর জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বনের মাধ্যমে অঙ্কিত হয়, তাকে বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র বলে। অর্থাৎ যে মানচিত্র অংকন করে কোন দেশের ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, উদ্ভিজ্জ, মৃত্তিকা, জনসংখ্যা, কৃষি ফসল বন্টন, শিল্প উৎপাদন বন্টন, আমদানি রপ্তানি বন্টন প্রভৃতির সুন্দরভাবে দেখানো যায় তাকে বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র বলে।
বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র দুই প্রকার। যথা-

১। প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Maps),
২। সাংস্কৃতিক মানচিত্র (Cultural Maps) ।

১। প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Maps) ঃ

প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান গুলো দেখানোর জন্য যে মানচিত্র অংকন করা হয় তাকে প্রাকৃতিক মানচিত্র বলে। এই মানচিত্রে ভূমির বন্ধুরতা, পাহাড়, পর্বত, নদনদী এবং ভূ-পৃষ্ঠের উদ্ভিদের বন্টন, মৃত্তিকার ধরন, সাগর-মহাসাগর, হ্রদ, হাওর, বাওর প্রভৃতি বিষয়গুলো আলাদা আলাদা মানচিত্রে অংকন করে দেখানো হয়।
সাধারণত ব্যবহারিক বিশেষত্ব ও বিষয়বস্তু অনুসারে প্রাকৃতিক মানচিত্র কে আরো কতিপয় শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-

(I) ভূ-তাত্ত্বিক মানচিত্র (Geological Maps) :

যে মানচিত্রে ভূ-ত্বক গঠনকারী বিভিন্ন শিলার উৎপত্তি ও অবস্থান সম্পর্কে দেখানো যায়, তাকে ভূ-তাত্ত্বিক মানচিত্র বলে। ভূমিরূপ পর্যালোচনা করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হওয়ায় ভূ-তাত্ত্বিক মানচিত্র ভূগোলবিদ দের নিকট যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।


(II) বন্ধুরতা মানচিত্র (Relief Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের বা কোন দেশের উঁচু-নিচু স্থান, ভুমির সমতা, আকৃতি, নিষ্কাশন প্রণালী, হ্রদ প্রভৃতির অবস্থান সম্পর্কে বিষাদ ভাবে জানা যায় তাকে বন্ধুরতা মানচিত্র বলে। এগুলো দেখে ভ,-ভাগের প্রকৃতরূপ সম্বন্ধে একজন অজ্ঞলোক ওসহজে বুঝতে পারে।

(III) মাটি বিন্যাস মানচিত্র (Soil Distribution Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মৃত্তিকার বিন্যাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, তাকে মাটিবিন্যাস মানচিত্র বলে। এ ধরনের মানচিত্র অংকন করা হয় কোন দেশের বিভিন্ন স্থানের মাটির বৈশিষ্ট্য দেখাবার জন্য।

(IV) আবহাওয়া মানচিত্র (Weather Maps) :

যে প্রাকৃতিক মানচিত্রের কোন একটি দিনের বায়ুর চাপ, বায়ু তাপ, বায়ুর আদ্রতা, বৃষ্টিপাত,সমচাপ রেখা, সমতাপ রেখা, আকাশের মেঘাচ্ছন্নতা, বায়ুপ্রবাহের দিক ও গতি, সাগর-মহাসাগরের আবহাওয়ার অবস্থা প্রভৃতি অংকন করে দেখানো হয় তাকে আবহাওয়া মানচিত্র বলে।

(V) জলবায়ু মানচিত্র (Climatic Maps) :

যে মানচিত্রের সাহায্যে বহু বছরের (অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩০ বছর) আবহাওয়ার গড় অবস্থা প্রকাশ দেখানো হয় তাকে জলবায়ু মানচিত্র বলে। ভূ-ভাগের অবস্থান অনুসারে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, অর্থাৎ পৃথিবীর জলবায়ু গুলো অক্ষাংশ ভিত্তিক।

(VI) উদ্ভিদ মানচিত্র (Vegetation Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রাকৃতিক উদ্ভিদগুলোর ধরন ও বিন্যাস সম্পর্কে জানতে পারি, তাকে উদ্ভিদ মানচিত্র বলে।

(VII) জ্যোতিষ্ক মানচিত্র (Astronomical Maps) :

যে মানচিত্রে আকাশের বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহের অবস্থান ও পারস্পরিক দূরত্ব প্রকাশ পায়, তাকে জ্যোতিষ্ক মানচিত্র বলে।

২। সাংস্কৃতিক মানচিত্র (Cultural Maps) ঃ

যে মানচিত্রের সাহায্যে বিশ্বব্যাপী মানুষের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারার বিন্যাস, বিস্তার বা বন্টন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে সাংস্কৃতিক মানচিত্র বলে। সাংস্কৃতিক মানচিত্র কে নিম্নের কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(I) সামাজিক মানচিত্র (Social Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে বিশ্বের বা কোন দেশের কোন সামাজিক সংঘ, গোত্র, জাতি, উপজাতি, ভাষা, ধর্ম, রীতিনীতি প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেখানো যায়, তাকে সামাজিক মানচিত্র বলে।

(II) অর্থনৈতিক মানচিত্র (Economic Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যেমন-কৃষিজ, খনিজ, শিল্পজ, প্রাণী্জ, বনজ দ্রব্যের বিস্তার বা বন্টন এবং ওই দ্রব্যের উৎপাদিত কেন্দ্রের সাথে অবস্থান ও পারস্পরিক সম্পর্ক এবং ওই সব দ্রব্য ভোগকারীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সড়ক, রেল, নদী ও সমুদ্রপথ ব্যবস্থা দেখানো হয় তাকে অর্থনৈতিক মানচিত্র বলে।

(III) রাজনৈতিক মানচিত্র (Political Maps) : 

যে মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সীমানা এবং বিভিন্ন দেশের স্বতন্ত্র মানচিত্রে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক এককের সীমানা দেখানো যায় তাকে রাজনৈতিক মানচিত্র বলে।

(IV) ভূমি ব্যবহার মানচিত্র (Land Use Maps) :

যেসব মানচিত্রের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন দেশ বা অঞ্চলের ভূমি ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হয় সেগুলোকে ভূমি ব্যবহার মানচিত্র বলা হয়।

(V) আঞ্চলিক মানচিত্র (Regional Maps) :

যেসব মানচিত্রের মাধ্যমে অঞ্চল ভিত্তিক বৈশিষ্ট্য গুলো প্রকাশ পায় তাকে আঞ্চলিক মানচিত্র বলা হয়।

(VI) ঐতিহাসিক মানচিত্র (Historical Maps) :

যেসব মানচিত্রের মাধ্যমে অতীতের কর্মকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, তৎকালীন রাজনৈতিক সীমানা ও স্থাপন সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞান লাভ করা যায়, সেগুলোকে ঐতিহাসিক মানচিত্র বলে।

(VII) প্রশাসনিক মানচিত্র (Administrativ Maps) :

যে মানচিত্রে কোন দেশের প্রশাসনিক এলাকা গুলো দেখানো হয়, তাকে প্রশাসনিক মানচিত্র বলে।

(VIII) সামরিক মানচিত্র (Military Maps) :

যে মানচিত্রে সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, রাস্তা, সামরিক স্থাপনা, যুদ্ধক্ষেত্র প্রভৃতি সম্পর্কে ধ্যান ধারণা দেওয়া থাকে, তাকে সামরিক মানচিত্র বলে।

(IX) বণ্টন মানচিত্র (Distribution Maps) :

যে মানচিত্রের মাধ্যমে বিশ্বের বা কোন দেশের জনসংখ্যা কৃষিজ, খনিজ, শিল্পজ, বনজ, প্রাণিজ প্রভৃতির বিস্তার, বন্টন বা বিন্যাস সম্পর্কে জানা যায়, তাকে বন্টন মানচিত্র বলা হয়।

(গ) তথ্যভিত্তিক মানচিত্র (Data Based Maps) 

যে মানচিত্রে বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য বলি প্রকাশ পায় তাকে তথ্যভিত্তিক মানচিত্র বলা হয়। আর এরূপ মানচিত্রগুলোকে পরিবেশিত তথ্য অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

১। গুণবাচক মানচিত্র (Qualitative Maps),
২। পরিমাণবাচক মানচিত্র (Quantitative Maps)।

১। গুণবাচক মানচিত্র (Qualitative Maps) ঃ

প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক মানচিত্রগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন গুণাগুণ প্রকাশ করা হয়. তখন এই গুণাগুণ প্রকাশকারী মানচিত্রকে গুণবাচক মানচিত্র বলে। গুণবাচক মানচিত্র কে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(I) ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র (Topographical Maps),
(II) আবহ মানচিত্র (Weather Maps),
(III) জলবায়ু মানচিত্র (Climatic Maps),
(IV) মাটি মানচিত্র (Soil Distribution Maps),
(VI) উদ্ভিদ মানচিত্র (Vegetation Maps),
(VII) সমুদ্র স্রোতের মানচিত্র (Ocean Current Maps) ইত্যাদি।

২। পরিমাণবাচক মানচিত্র (Quantitative Maps)

আধুনিক ভূগোলবিদদের মতো একটি দেশের অর্থনৈতিক, জনসংখ্যা ও জলবায়ু প্রভৃতির উপর গৃহীত তথ্যগুলো ভিন্ন ভিন্ন কলাকৌশল ও পদ্ধতি দ্বারা যখন মানচিত্র অঙ্কন করা হয় তাকে পরিমাণবাচক মানচিত্র বলে। পরিমাণবাচক তথ্যগুলো মানচিত্রে অংকন করার সময় বিভিন্ন চিহ্ন বা প্রতীক রেখা, বৃত্ত, বিন্দু, প্রভৃতি দ্বারা প্রকাশ করা হয়। পরিমাণ বাচক মানচিত্র বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন-

(I) সমমান রেখা মানচিত্র (Isoieth Maps) :

আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ক উপাত্ত দেখানোর জন্য সমান দেখা যখন মানচিত্রে প্রদর্শন করা হয়, তখন তাকে সমমান রেখা মানচিত্র বলে। উদাহরণস্বরূপ বিভিন্ন প্রকার সমমান রেখা মানচিত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

সমচাপ রেখা মানচিত্র (Isobar Maps) :

কোন নির্দিষ্ট সময়ে ভূপৃষ্ঠের কোন এলাকার বা কোন দেশের সমান বায়ুচাপ বিশিষ্ট স্থানগুলোকে যে মানচিত্রের উপর বক্ররেখা দ্বারা যোগ করা হয়, তাকে সমচাপ রেখা মানচিত্র বলে।

সমতাপ রেখা মানচিত্র (Isotherm Maps) :

কোন নির্দিষ্ট সময়ে ভূপৃষ্ঠের কোন এলাকার বা কোন দেশের সমান বায়ু তাপ বিশিষ্ট এলাকাকে যে মানচিত্রের উপর সাবলীল বক্ররেখা দ্বারা যোগ করা হয়, তাকে সমতাপ রেখা মানচিত্র বলা হয়।

আরো পড়ুন ঃ হাসি অনলাইন আইটি

সমবর্ষণ রেখা মানচিত্র (Isothyet Maps) :

কোন নির্দিষ্ট সময় ভূপৃষ্ঠের কোন এলাকার বা কোন দেশের সমান বৃষ্টিপাত বিশিষ্ট স্থানগুলোকে যে মানচিত্রের সাবলীল বক্ররেখা দ্বারা যোগ করা হয়, তাকে সমাবর্ষণ মানচিত্র বলে।

সম-লবণাক্তরেখা মানচিত্র (Isosaline Maps) :

যে মানচিত্রের উপর সমুদ্রপৃষ্ঠের সম-লবণাক্ত স্থানগুলোকে বক্ররেখা দ্বারা যোগ করা হয়, তাকে সম-লবণাক্ত রেখা বলা হয়।

সম-সূর্যলোক রেখা মানচিত্র (Isohel Maps) :

যে মানচিত্রের উপর কোন দেশের সমান গড় দৈনিক সূর্যালোক জ্ঞাপক স্থানগুলোকে বক্ররেখা দ্বারা যুক্ত করে, তাকে সম-সূর্যলোক রেখা মানচিত্র বলে।

বৃষ্টিপাতের শতকরা হার রেখা মানচিত্র (Isomer Maps) :

যে মানচিত্রের উপর কোন দেশের বার্ষিক মোট বর্ষনের শতকরা হার হিসাবে মাসিক সমান বৃষ্টিপাত বিশিষ্ট স্থান গুলোকে বক্ররেখা দিয়ে যুক্ত করে, তাকে বৃষ্টিপাতের শতকরা হার রেখা মানচিত্র বলা হয়।

সমোন্নতি রেখা মানচিত্র (Contour Maps) : 

যে মানচিত্রের উপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানগুলোকে বক্ররেখা দিয়ে যুক্ত করা হয়, তাকে সমোন্নতি রেখা মানচিত্র বলে।

(II) বিন্দু মানচিত্র (Dot Maps) :

যে কোন দেশের জনসংখ্যার বন্টন, বিভিন্ন ফসলের বন্টন প্রভৃতি মানচিত্রে বিন্দু দিয়ে দেখানো হয়, তখন তাকে বিন্দু মানচিত্র বলে।

(III) ছায়া পদ্ধতির মানচিত্র (Shadow Maps) :

যে কোন দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি আবার কোন অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম আবার বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন মানচিত্রে ছায়া পদ্ধতিতে অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে ছায়া পদ্ধতির মানচিত্র বলে।

(IV) বৃত্ত মানচিত্র (Circle Maps) :

কোন দেশের বিভিন্ন জেলা বিভিন্ন উপজেলা বা বিভিন্ন ইউনিয়নের আয়তন অনুসারে আনুপাতিক হারে বৃত্তের সাহায্যে জনসংখ্যা বন্টন দেখিয়ে যে মানচিত্র অংকন করা হয় তাকে বৃত্ত মানচিত্র বলে।

(V) চক্র লেখ মানচিত্র (Wheel Maps) :

যেকোনো দেশের বিভিন্ন জেলার ভূমির ব্যবহার, জনসংখ্যার ব্যবহার, কৃষি ফসলের উৎপাদনের পরিমাণ, আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ প্রভৃতি শতকরা হাত দেখিয়ে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে চক্রলেখ মানচিত্র বলে।

মন্তব্য,

পরিশেষে বলা যায় যে, এতক্ষণ ধরে আমরা মানচিত্রের সংজ্ঞা এবং মানচিত্রের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনেছি, আশা করছি এই বিষয় সম্পর্কে আপনি পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এই সমস্ত তথ্য উপস্থাপনের বিষয়ে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে মন্তব্য বক্সে লিখে রাখবেন। এতক্ষণ ধরে এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url