লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি কি লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান , গুগলে অনেক সার্চ করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না, তাহলে আপনার জন্যই এই প্রতিবেদনটি, কারণ এ প্রতিবেদনের মধ্যে সুন্দরভাবে লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ, আলোচনা করা হয়েছে।
এই আর্টিকেলের মধ্যে লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা ও অপকারিতা,খাওয়ার নিয়ম, ,এবং এর কোন ক্ষতিকর দিক আছে কিনা,লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ, এগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এ সম্পর্কে জানতে হলে আপনি ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্যের জন্যউপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ জানতে হলে আগে লবঙ্গ কি কি কাজে ব্যবহার করা যায় এগুলো জানা দরকার। কই টালবঙ্গ একটি মসলার নাম। লবঙ্গ জাতীয় গাছের কুড়ি শুকিয়ে এই মসলা তৈরি হয়ে থাকে।বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তে লবঙ্গ মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
যেমন গোস্ত, পোলাও , বিরিয়ানি,কাবাব, বিভিন্ন ধরনের আচার , এছাড়াও অন্যান্য দামি দামি খাদ্য তৈরিতে এই মসলা বিপুল পরিমাণে ব্যবহার হয়ে থাকে। একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন রয়েছে ,অপরদিকে সাদ বৃদ্ধিতে যথেষ্ট পরিমাণে সহায় ভূমিকা পালন করে থাকে।
লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম
লবঙ্গ এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে হলে কিভাবে লবঙ্গ খাওয়া যায় তার নিয়ম জানা দরকার।লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খাওয়া যায়, আবার লবঙ্গ মুখে রেখে চুষে চুষে ধীরে ধীরে রস খাওয়া যায, এইভাবে লবঙ্গ খেলে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ শ্বাসকষ্ট এবং দাঁতের ব্যথার জন্য খুব ভালো কাজ করে।
মূলত সর্দি কাশি এবং দাঁতের ব্যথার জন্য লবঙ্গ মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রান্নার মসলা বা উপকরণ হিসেবেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন মুরগির গোস্ত, রোস্ট, খাসির গোশত , গরুর গোস্ত সহ বিভিন্ন প্রকারের গোশত রান্নার জন্য কোরমা , পোলাও, বিরিয়ানি, ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মুখরচো খাবারের মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে হলে প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত সেটি জানা প্রয়োজন।প্রতিদিন সকালে বাঁশি পেটে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার , পেট ব্যথা , গ্যাস্ট্রিক সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসাবে কাজ করে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে প্রতিদিন দুইটি করে লবঙ্গ খেলে শরীর অনেক ভালো থাকে । এছাড়া লবঙ্গ এর তেল বহুদিন আগে থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
লবঙ্গের মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে
লবঙ্গ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে লবঙ্গের মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে সেটা জেনে নিই।এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গের মধ্যে খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন দুটোই কম বেশি উপস্থিতি রয়েছে । খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ,
আয়রন ,ম্যাগনেসিয়াম ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম , সোডিয়াম , জিংক সহ আরো অনেক মূল্যবান উপাদান।ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে পাওয়া যায় বি-৬, বি-১২, ভিটামিন সি , ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, থায়ামিন , রাইবোফ্র্রাভিন , ইত্যাদি এসব যৌগের এন্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা জানার ক্ষেত্রে খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কি হয় সেটা আগে জেনে নিই। লবঙ্গ সর্দি-কাশির জীবাণু কে হার মানাতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। লবঙ্গ দাঁত ও মাড়ির শক্ত করতে এবং জীবন মুক্ত করতে অকল্পনীয়ভাবে কাজ করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শরীরে গিঁটে গিটে ব্যথা, লিভার সুস্থ রাখাসহ বিভিন্ন রোগের সমাধান ঘটাতে পারে এই লবঙ্গ। লবঙ্গ খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতবাদ হল খালি পেটে বা বাসি পেটে লবঙ্গ খাওয়া কারণ এইভাবে লবঙ্গ খেলে দ্রুত শরীরের ভিতরে কাজ করে।
লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে আমরা এর উপকারিতা সমূহ গুলো জেনে নিই। লবঙ্গ একটি বহু গুণ বিশিষ্ট মশলা জাতীয় খাদ্য । শুধু মসলাই নয় এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন । এর উপকারিতা অনেক , নিম্নের লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা কমায়ঃ
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা জানতে গেলে প্রথমেই আসে দাঁতের ব্যথা। লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ এরমধ্যে দাঁতের ব্যথা দূরীকরণ এবং মাড়ি ক্ষয় থেকে নিরাময় পেতে লবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম । লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান।
লবঙ্গের এই সমস্ত উপাদান গুলো খুব দ্রুত কাজ করে। তাই লবঙ্গ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ 10 থেকে 5 মিনিটের মধ্যেই দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। লবঙ্গ দাঁত ও মাড়ির জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়টি নিয়ে ভাবলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলে আসে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি।লবঙ্গ তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার , পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে লবঙ্গ এবং এর উপাদান গুলো খুব দ্রুত কাজ করে থাকে।
হাড় শক্তঃ
লবঙ্গের মধ্যে হাড় শক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বভাব উপাদান গুলি বিরাজমান। তাই নিয়মিত লবঙ্গ খেলে শরীরের হার শক্ত হবে মজবুত হবে। লাফাঙ্গের মধ্যে বিপুল পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ উপস্থিত থাকায় হার শক্ত করার জন্য ক্যালসিয়ামের নেই কাজ করে থাকে। তাই মসলা হিসেবে ব্যবহার করে হোক কিংবা বাসি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করেই হোক নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারলে হাড়ের যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণাঃ
মাথা ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে হলে, প্রতিদিন নিয়ম করে দুইটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে, কয়েকদিনের মধ্যেই এর উপকার লক্ষ্য করা সম্ভব । কারণ মাথাব্যথা কমাতে লবঙ্গ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্ট্রেস কমাতেঃ
নিয়মিত প্রতিদিন দুটি করে লবঙ্গ চুষে খেতে পারলে শরীরের ক্লান্তি ভাব এবং অবসাদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। শরীরে স্ট্যামিনা তৈরি করতে সক্ষম এই লবঙ্গ। যদি আপনার ক্লান্তি ভাব এবং শরীরে চাঞ্চল্যতা নিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বমি বমি ভাব দূর করেঃ
যাত্রাকালীন সময়ে যানবাহনে অনেকেই বমি করে থাকেন এই গভীর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে যাত্রার কিছু আগ মুহূর্তে দুইটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষতে থাকুন, তাহলে বমি হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। লবঙ্গের একটি ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে যা বমি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্ভব।
রক্ত পরিশোধনঃ
লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান, এটি রক্তের মধ্যে ক্ষতিকার টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম। সুতরাং বলা যায় রক্তের ক্ষতিকার জীবাণু পরিশোধন করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনা করতে গেলে চলে আসে ক্যান্সার প্রতিরোধের ভূমিকা। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বিজ্ঞানিকেরা গবেষণা করে বলেছেন শরীরে টিউমার থাকলে সেটিত বৃদ্ধিতে বাধা এবং ক্যান্সারের কোষগুলি বিনাশ করতে সহায়তা করে। বিশেষত ব্রেস্ট ক্যান্সার এর জীবাণু প্রতিরোধ করার জন্য লবঙ্গ একটি কার্যকরী ঔষধ। তবে মাথায় রাখতে হবে যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীরা লবঙ্গ খেতে হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
জ্বর কমাতে ঃ
লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ভিটামিন কে এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে হলে জ্বর সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ এর সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম।
লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
লবঙ্গ তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা টক্সিন বা বিষক্রিয়া পদার্থ গুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সক্ষম। এজন্য বলা যায় লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক এই লবঙ্গ।
ব্রণের চিকিৎসায়ঃ
প্রতিদিন নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ব্রুনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও লবঙ্গ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্রণের দাগের স্থানে লাগালে দাগ দূর হয়। বহু বছর আগে থেকেই ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহার হয়ে আসছে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ
লবঙ্গ এর তেলের মধ্যে রয়েছে ভোলাটাইল উপাদান যা শরীরের ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম। যার ফলে লবঙ্গ তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতেঃ হাসি অনলাইন আইটি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ
ডায়াবেটিস হলে শরীরের চাহিদা মত ইনসুলিন তৈরি হয় না। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, লবঙ্গ শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম, এবং তা দেহের কার্য ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং বলা যায় লবঙ্গ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চুলের যত্নে ঃ
লবঙ্গের পানিতে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। লবঙ্গের এই উপাদান চুলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করতে চুলের গোড়া শক্ত করতে পাশাপাশি চুল বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে। লবঙ্গ মিশ্রিত পানি চুলের খুকসি দূর করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যৌন ক্ষমতা বাড়াতেঃ
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দেখা যায় সংগ্রামের ক্ষেত্রেও এই লবঙ্গ ভূমিকা রাখে। লবঙ্গের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা যৌন শক্তিকে উদ্দ্রিত করতে কাম শক্তিকে ব্যক্তি করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এটি দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে সহায়তা করে থাকে সুতরাং বলা যায় নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং দ্রুত যৌন উত্তেজনা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
লবঙ্গের অপকারিতা
লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা বিস্তারিত জানার ক্ষেত্রে এ পর্বে লবঙ্গের অপকারিতার গুলো জেনে নিই।যদি রক্তের সমস্যা থাকে, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকে, তাহলে লবঙ্গ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। লবঙ্গে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তকে পাতলা করে।
ফলে শরীরের কোন স্থানে কেটে গেলে তা তাড়াতাড়ি রক্ত বন্ধ করতে সমস্যা হয়। এছাড়াও, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে লিভার, কিডনি ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে। লবঙ্গ ব্যবহারের ফলে যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- বেশি পরিমাণ লবঙ্গ খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
- লবঙ্গের তেল তুলনামূলক বেশি ব্যবহার করলে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- লবঙ্গ অতিরিক্ত খেলে রক্ত পাতলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত থাকলে লবঙ্গ ব্যবহার না করাই ভালো
- যাদের শরীরে সরকারের পরিমাণ কম তাদের অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়
শেষ কথা
লবঙ্গ একটি মসলা জাতীয় খাদ্য। এটি খাদ্যে শুধু স্বাদই বৃদ্ধি করে না, এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন । বিভিন্ন সমস্যার তড়িৎ সমাধান করতে সক্ষম এই মসলা জাতীয় দ্রব্য লবঙ্গ। এর কিছু পরিমাণে ক্ষতিকর দিক থাকলেও রয়েছে বহুবিধ উপকারী দিক। আমি আশা করছি, লবঙ্গের উপকারিতা সমূহ, লবঙ্গ এর গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সঠিক ধারণা পেয়েছি।
আমার আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জন অথবা বন্ধু-বান্ধব এ সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানাতে পারবে। আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url