মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল এবং কুফল সমূহ

 সম্মানিত প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল এবং কুফল সমূহ সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী, মোবাইল বা স্মার্টফোন আমাদের জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। গুগলে অনেক সার্চ করে ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল সমূহ, সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল এবং কুফল সমূহ

মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়, মোবাইল ফোন জনপ্রিয়তা হওয়ার কারণ, কিভাবে এর সঠিক ব্যবহার করা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা সমূহ এ সম্পর্কিত বিষয় সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমার এই প্রতিবেদনের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলুন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিই-

ভূমিকা

মোবাইল বা স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, এমন কোন এডাল্ট নাই যা, মোবাইল ব্যবহার করে না, এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারাও প্রতিনিয়ত মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। এডাল্ট যারা রয়েছেন তারা বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও বাচ্চারা গেম খেলা,

কার্টুন দেখার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তবে আমাদের সকলেরই মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা উচিত।

মোবাইল কি

মোবাইল এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ভ্রাম্যমান অর্থাৎ, কোন ডিভাইসকে নিজের প্রয়োজনে খুব সহজেই এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। মোবাইল হল একটি তারবিহীন টেলিফোন। এটি বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। এই ডিভাইস দিয়ে এক স্থানের মানুষ অন্য স্থানের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে মোবাইল গুলো এত উন্নত হয়েছে যে, মোবাইল দিয়ে কম্পিউটারের মত কাজ করা হয়ে থাকে,এই ধরনের মোবাইলকে স্মার্টফোন বলা হয়। আর স্মার্টফোন দিয়ে কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে।

মোবাইল ফোন জনপ্রিয়তা হওয়ার কারণ

বর্তমানে মোবাইল ফোন জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অনেকগুলো কারণ রয়েছে। নিম্নে এর জনপ্রিয়তার কতিপয় কারণ উল্লেখ করা হলোঃ
  • সহজে এবং দ্রুত এই ফোনটি কিনা যায়, তুলনামূলকভাবে এই ফোনটির দাম কম। সব ধরনের মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারে।
  • মোবাইল ফোন সহজেই এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায় এবং এর ব্যবহার খুব সহজ।
  • কম খরচে এসএমএস করা যায় বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন এদের সঙ্গে অল্প টাকায় কথা বলা যায়।
  • ল্যান্ড লাইন ফোনে মাঝে মাঝে প্রচুর বিল আসে। মোবাইল ফেলে এরকম ঘটনা ঘটে না। পুলিশের কাজে মোবাইল ফোন একটা বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে থাকে, মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করে সহজেই সন্দেহজন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়। অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


এছাড়াও স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোন ভিন্ন ধরনের কাজে লেগে থাকে, যেমন facebook, twitter ছবি তোলা, whatsapp ব্যবহার করা বিভিন্ন অফিস আদালতে মেইল পাঠানো এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফেলে ব্যবহার দিনে দিনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল সমূহ

বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের মোবাইল ফোনের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে এডাল্ট এবং বয়স্ক প্রত্যেকেরই মোবাইল অতি প্রয়োজন। মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল সমূহ উল্লেখ করা হলোঃ

মোবাইল ফোন দিয়ে বাড়ি থেকে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর নিতেঃ 

অনেক আত্মীয়-স্বজন এর বাড়িতে যাওয়ার তেমন সুযোগ হয় না। বাড়িতে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের খোঁজখবর নেওয়া খুব সহজ ভাই এছাড়াও ছেলে মেয়েরা বাড়ির বাইরে স্কুল কলেজে ম্যাচে হাটে বাজারে বিভিন্ন জায়গায় গেলে খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়া যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতেঃ 

আমাদের বাসায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান প্রায় লেগেই থাকে কিন্তু, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বিভিন্ন জায়গায়, অনেক দূরে দূরে অনেক সময় তাদের সশরীরে বাসায় গিয়ে দাওয়াত করা সমস্যা হয়ে থাকে, সময় পাওয়া যায় না, তাছাড়া বার্ধক্য জনিত কারণে সরাসরি যাওয়া যায় না।

তাছাড়া এমন কিছু প্রোগ্রাম রয়েছে যা অল্প সময়ের মধ্যেই আয়োজন করা হয়ে থাকে, এই সমস্ত অনুষ্ঠানের দাওয়াত করতে হলে মোবাইলের ভূমিকা অপরিসীম। মোবাইলের মাধ্যমেই অনেককে দাওয়াত করা হয়ে থাকে, দাওয়াত করার কাজে মোবাইল আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকে।

মোবাইল ফোন দিয়ে গান শুনতেঃ 

দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজের একঘেয়েমি কাটাতে গেলে গান শোনা, কোরআন তেলাওয়াত শোনা, এগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। মোবাইল দিয়ে গান শুনে বা বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যম গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আনন্দ পাওয়ার একটা সহজ উপায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতেঃ 

মানুষের জীবনে কিছু স্মরণীয় ঘটনা ধরে রাখার জন্য ছবি তোলে একটি ফ্রেমে কিছু স্মৃতি বন্দী করে রাখে। এর জন্য ক্যামেরার প্রয়োজন হয়,কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে খুব সহজেই মোবাইল দিয়েই ছবি তোলার কাজ সেরে নেওয়া যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে পথ বা লোকেশান চিনতেঃ 

কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গার ঠিকানা খুঁজে পেতে এবং কিভাবে যাওয়া যায় তার রাস্তা বের করতে, মোবাইলের মাধ্যমে google এ ঠিকানা এবং রাস্তার ম্যাপ পাওয়া যায়, সেখান থেকে পথ এবং লোকেশন চেনা খুব সহজ হয়ে যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে ক্যালেন্ডার হিসেবে ব্যবহারঃ 

মোবাইল ক্যালেন্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে মাসিক এবং বাৎসরিক ক্যালেন্ডার দিন তারিখ সবগুলোই সঠিকভাবে এবং নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়। দিন তারিখ নির্ণয়ের জন্য এক্সট্রা কোন ক্যালেন্ডার এর প্রয়োজন হয় না।

মোবাইল ফোন দিয়ে সময় দেখতেঃ 

মানুষ একসময় সময় দেখার জন্য হাতের ঘড়ি ব্যবহার করত, এক্ষেত্রে অনেকেরই অস্বস্তি মনে করতো, মোবাইল সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে,

মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করাঃ 

মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন দিয়ে ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আই ইনকাম করা যায়, অনলাইনে প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, যা একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে খুব সহজেই এ কাজগুলো করে ইনকাম করা যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে খবরের কাগজ পড়তেঃ 

নিয়মিত খবরের কাগজ পড়া অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে, খবরে কাগজ পড়ার জন্য স্মার্টফোন যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে, অনলাইনে সার্চ দিলেই খুব সহজেই খবরে কাগজ পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে বাড়তি কোন ঝামেলা প্রয়োজন হয় না।

মোবাইল ফোন দিয়ে চাকরির বিজ্ঞাপন জানতেঃ 

চাকরির বিজ্ঞাপন জানার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ইনস্টল করে সরকারি এবং বেসরকারি সকল সার্কুলার গুলো জানা সম্ভব হয়।

মোবাইল ফোন দিয়ে মেইল পাঠাতেঃ 

অফিসের কাজে বা বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠাতে বা মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে মোবাইল একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে, কারণ কম্পিউটার সচরাচর যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না, সে ক্ষেত্রে মোবাইলেই একমাত্র সহজ পথ।

আমরা প্রথমেই জেনে নিয়েছি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল সমূহ গুলো কি কি. এখন পর্যায়ক্রমে এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেব। 

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর বা কুফল দিকসমূহ 

অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নই, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, মোবাইলে যে রকম উপকারিতা রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এর ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে প্রবল। চলুন আমরা এবার জেনে নেই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারেঃ

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল ঘাড় ব্যথাঃ 

দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে মাথা নিচের দিকে করে রাখতে হয়। অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত মোবাইলে গেমে আসক্ত, ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে, বন্ধু বান্ধবীর সাথে চ্যাট করতে থাকে,দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহারের ফলে ঘাড় ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল চোখে জ্যোতি কমতে পারেঃ 

এক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে, মোবাইলে স্কিনের আলো সরাসরি চোখে পড়ে। ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল কানে কম শোনাঃ 

মোবাইল ফোন দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে বা কথা বললে, গান শুনলে, ইয়ারফোন কানে দিয়ে গান শুনলে, কানের শ্রবন শক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে যুবক যুবতীদের শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়ার কারণ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা।

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল মেজাজ খিটখিটে হাওয়াঃ 

দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করলে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অমনোযোগীতা বৃদ্ধি পায়, ছোটখাটো কারণে বেশি হয় রাগান্বিত বেশি হয়।

আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুনঃ হাসির অনলাইন আইটি

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল চিন্তাশক্তি কমে যাওয়াঃ 

মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে সৃজনশীল মেধা কমে যায়, চিন্তা শক্তি কমে যায়, ফলে তার উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল শুক্রাণু কমে যাওয়াঃ 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে, মোবাইলের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রানুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে, ফলে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। মোবাইল ব্যবহার করার পর প্যান্টের পকেটে রেখে দিলে, মোবাইলের উত্তাপ অন্ডকোষের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ফলে শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার

বর্তমানে মোবাইল বা স্মার্টফোন আমাদের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস।দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মোবাইল আমাদের যেরকম সুযোগ-সুবিধা এনে দেয় অপরদিকে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ক্ষতির ও সম্ভাবনা থাকে।


পরিমিত ব্যবহার করলে এর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।এইবার আমরা দেখে নিব কিভাবে পরিমিত ব্যবহার করা যায় বা মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সমূহ, চলুন এ বিষয়ে আমরা একটু জেনে নিই

মোবাইল চার্জ দিয়ে কথা না বলাঃ 

আমরা অনেক সময় মোবাইল চার্জে রেখেই কথা বলে থাকি আবার অনেকেই চার্জারে লাইন দিয়েই মোবাইলের ফেসবুক বা মেসেঞ্জার এগুলো চালাতে থাকে, এটা মোটেও উচিত নয় মোবাইল চার্জে রেখে ব্যবহার করলে যে কোন সময় বিস্ফোরণ করতে পারে।

বাম কানে মোবাইল ব্যবহার করাঃ 

মস্তিষ্ক একটি স্পর্শকাতর অঙ্গ। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণায় দেখেছেন যে, মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় বাম কানে কথা বলা উচিত, কথা বলার ক্ষেত্রে ডান কান ব্যবহার করলে তুলনামূলক মস্তিষ্কের বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে।

অব্যবহৃত অ্যাপস আনইন্সটল করাঃ 

বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে থাকি। যেগুলো ব্যবহার হয় না বা খুব কম হয় সে সমস্ত অ্যাপসগুলো মোবাইল থেকে ডিলিট করাই উত্তম। তাহলে মোবাইল এর ব্যাটারির চার্জ স্থায়িত্ব হবে।

অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করাঃ 

স্মার্টফোন গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ইনস্টল করার ফলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস অ্যাটাক করতে পারে। তাই আমাদের উচিত উন্নত মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা। তাহলে শুধু ভাইরাস ই নয় মোবাইল ফোনটি কেউ বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তিগত দিক থেকে রক্ষা করবে।

বিনোদনের জন্য টিভি ব্যবহার করাঃ 

বিনোদনের জন্য অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার না করে বাসায় টিভি, খবরের কাগজ,ম্যাগাজিন, বই ইত্যাদি ব্যবহার করার অভ্যাস করা।মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকারক গুলো মাথায় রেখে আমাদের বিনোদন করতে হবে।

কম্পিউটার ব্যবহার করাঃ 

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার না করে বাসায় কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে, মোবাইলের উপরে অতিরিক্ত চাপ কমানোর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বাচ্চাদের সাথে খেলা করাঃ 

বাচ্চাদেরকে বিনোদনের জন্য তাদের হাতে মোবাইল না দিয়ে তাদের খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। এবং নিজেও তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় গুলো বিনোদনের জন্য খেলার মাধ্যমে কাটাতে হবে, এর ফলে মোবাইলের ওপরে অতিরিক্ত চাপ কমে যাবে।

মন্তব্য

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মোবাইল হল এমন একটা ডিভাইস যা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল এবং কুফল সমূহ আলোচনা করতে গিয়ে জানা গেছে যে,এটি ব্যবহারের ফলে আমাদের অনেক সুফল বয়ে নিয়ে আসে,

 কারণ কম্পিউটার কেনা সবার দ্বারাই সমর্থ হয় না, এই ক্ষেত্রে অতি সহজেই একটি স্মার্ট ফোন কেনা যায়,তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

আমার এই প্রতিবেদনটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন, তাহলে অন্যরাও এর সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। এতক্ষণ ধরে আমার এ প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url