পা ফোলা রোগের কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি
হঠাৎ পা ফুলে গেছে,খুব দুশ্চিন্তে আছেন,পা ফোলার কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত রয়েছেন ? পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা এ বিষয় গুগলে অনেক সার্চ করেও সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না ? তাহলে আপনার জন্য এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত জরুরী। কারণ এই প্রতিবেদনে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমার আজকের এই প্রতিবেদনে পা ফোলার কারণগুলো কি কি, পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করা যায়, পা ফুলে গেলেকি কি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, এ সমস্ত বিষয়সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করেছি। চলুন এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নিই।
ভূমিকা
পা ফোলা এ রোগটি প্রায় সবারই কম বেশি হয়ে থাকে,পা ফোলার কারণ এবং তার প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো সবারই জানা দরকার। কারো এক পা, আবার কারো দুই পা। কারো মাঝে মাঝে, আবার কারো কারো প্রায় সবসময়ই ফোলা থাকে।
কেউ দীর্ঘক্ষন বসে থাকলে হয়, কারো ভ্রমণ কালে হয়, যাদের শরীরের উচ্চতা এবং ওজন অনুযায়ী ব্যালেন্স থাকে না,তাদের মাঝে মাঝেই পা ফুলে যেতে পারে, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করলে ও পা ফুলে যেতে পারে, অন্তঃসত্তা অবস্থায় শেষ চার মাসের সময় গুলোতে অনেকেরই পা ফুলে যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ জনিত ঔষধ ব্যবহার, জন্মনিয়ন্ত্রণের ঔষধ সেবন, ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন, এর প্রভাবে পা ফোলা হতে পারে, এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের উপসর্গ হিসেবে পা ফুলে যেতে পারে, তাই পা ফোলার প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা এই বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখাই উচিত।
পা ফোলার কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা
বিভিন্ন শারীরিক ও সামঞ্জসতার জন্য পা ফুলে যেতে পারে, তবে পা ফুলে গেলেই আমাদের সরাসরি ডাক্তারের কাছে না গিয়ে কিছু প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা করা যেতে পারে। ফোলার কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে
আমাদের জানতে হবে পা ফোলার কারণসমূহ গুলো কি কি? তারপরে পা ফেলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো জানতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন আমরা জেনে নিই কি কি কারনে পা ফুলে এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
পা ফোলার কারণ সমূহ
মানবদেহের প্রতিটা অঙ্গই একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। কোন কারনে একটি অঙ্গ সমস্যা সৃষ্টি হলে অন্য অঙ্গের উপরে তা প্রভাব পড়ে। কিডনি মানব শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে পা ফোলা। কিডনির সমস্যা হলে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে পা ফুলে যায়।
কোন কারনে শরীরের সূক্ষ্ম রক্ত নালীগুলো ছিদ্র হয়ে টিস্যুত তরল পদার্থ গুলি ছড়িয়ে পড়ে,তখনই চামড়া সমেত পা ফুলে যায়। নিম্নে পা ফোলার কারণ গুলি উল্লেখ করা হলোঃ
পা ফোলার ডিভিটি (Deep Vein Thrombosis) কারণঃ
আমাদের শরীরে যে পথ দিয়ে রক্ত হৃদপিণ্ডে যাওয়া আসা বা চলাচল করে তাকে ভেইন বা শিরা বলা হয়। শিরা গুলো দুইটি স্তরে বিন্যস্ত, একটি স্তর চামড়ার নিচে থাকে, অন্যটি মাংসের ভিতরে থাকে। মাংসের ভিতরে বা গভীরে অবস্থিত সিরাগুলো অনেক বড়,
এরা মূলত হৃদপিন্ডে রক্ত ফেরত নেওয়ার মূল কাজটাই করে থাকে। কোন কারণে রক্ত ফেরত নেওয়ার সময় মূল পথে, রক্ত জমাট বাঁধে, তখন তাকে 'ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ (Deep Vein Thrombosis) বা সংক্ষেপে ডিভিটি (DVT) বলে।
এর ফলে হৃদপিন্ড, রক্ত ফেরত নেওয়ার পথটাই বন্ধ হয়ে যায়, ধমনীর মাধ্যমে রক্ত পায়ে আসে, কিন্তু আর ফেরত যেতে পারে না,তখন পা ফুলে যায়।এটি সাধারণত এক পায়ে হয়ে থাকে। দুই পায়ে একসঙ্গে খুব কমই হয়ে থাকে।
পা ফোলার সেলুলাইটিস এর কারণঃ
কোন কারনে নাসিকা নালীতে ব্লক, প্রদাহ বা বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমনের প্রভাবে হাত, পা ফুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
পা ফোলার কারণ ব্লাড প্রেসারের ওষুধঃ
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার নামে একটি ওষুধ রয়েছে, এটি প্রেসার কমায়, হার্টের রোগীদের ও এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই ওষুধ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১০% লোকের পা ফেলা রোগ হয়ে থাকে।
পা ফোলার কারণ লিভার সমস্যাঃ
লিভার সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হলে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিনের উৎপত্তি বন্ধ করে দেয়, অ্যালবুমিন রক্তনালী থেকে রক্ত বের হতে বাধা দেয়, কিন্তু এই প্রোটিনের অভাবে রক্তনালী থেকে রক্ত বের হতে পারে,
এর ফলে পায়ে তরল পদার্থ গুলো জমা হতে হতে একসময় পা ফুলে যেতে পারে। শুধু তাই নয় এই প্রোটিনের অভাবে জন্ডিস, শরীরে ঘা,এবং শরীরের কার্যক্ষমতা ও ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
পা ফোলার কারণ কিডনির সমস্যাঃ
যাদের কিডনির বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না তাদের শরীরের উপরের অংশে তরল পদার্থ জমা হতে শুরু করে,পা একটি নিচের অংশ বিধায় পায়ে বেশি জমা হয়,এবং পা ফোলা রোগ হয়।
পা ফোলার কারণ যকৃতের রোগঃ
সিরোসিস জাতীয় প্রবলেম হলে,মানে যকৃত বা লিভারের কোন সমস্যা হলে প্রথমদিকে পেটে ও পরে পায়ে পানি জমতে পারে,এক্ষেত্রে অনেক রোগীদের খাবারে অরুচি, হলুদ প্রসাব,রক্ত বমি ইত্যাদি লক্ষণ গুলো দেখা যায়।
পা ফোলার কারণ হৃদরোগঃ
হৃৎপিণ্ডের কোন সমস্যা থাকলে তা সঠিক মাত্রায় রক্ত পাম্প করতে পারে না, এর ফলে শরীরে লবণ এবং পানির মাত্রা বাড়তে থাকে এবং পা ফুলে যায়। পা ফোলা ছাড়াও এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, হাঁচি সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়।
পা ফোলার হরমোন জাতীয় কারণঃ
থাইরয়েড জাতীয় হরমোন এর মাত্রা শরীরে কমে গেলে, শরীরের নিম্ন অঙ্গে অর্থাৎ পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে। এই হরমোনের অভাবে পায়ে পানি আসা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন,ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি,শীত শীত ভাব,মাসিকের রক্ত বেশি যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। তাই আমাদের থাইরয়েড হরমোন ব্যালেন্স রাখা উচিত।
পা ফোলার গর্ভধারণ জনিত কারণঃ
গর্ভধারণ জাতীয় কারণে শরীরের হরমোনের কিছুটা পার্থক্য হয়, যার ফলে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে অর্থাৎ শেষ চার মাসের পর অনেকের পা ফুলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পা ফোলার কারণ কৃমি সংক্রামকঃ
কৃমি সংক্রমণের ফলে ও পা ফুলে যেতে পারে, এক্ষেত্রে ফাইলেরিয়া নামক এক ধরনের কৃমি দায়ী।
পা ফোলার কারণ অনিয়মিত পিরিয়ডঃ
মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডকালীন সময়ে শরীরের বিভিন্ন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, পিরিয়ডের পূর্ববর্তী কালীন সময়ে, কারো কারো পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে, আবার কারো কার অনিয়মিত পিরিয়ড হলে, পায়ে পানি জমে পা ফুলে যেতে পারে।
পা ফোলার কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করতে গিয়ে আমরা প্রথমে আলোচনা করেছি পা ফোলার কারণসমূহ, চলুন এবার জেনে নিই পা ফোলার জন্য প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো।
পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা
আজকাল পা ফোলা রোগটি প্রায় সকলেরই সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। পা ফোলা কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব,পায়ের গোড়াতে আঘাত,বয়স বৃদ্ধি,খাদ্যাভ্যাস,অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ইত্যাদি।
আমরা প্রথমেই পা ফোলার কারণগুলো জেনে নিয়েছি, এবার চলুন আমরা দেখে নিই পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা সমূহ গুলোঃ
পা ফলার চিকিৎসা খনিজ লবণঃ
খনিজ লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেই পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন তাহলে পা ফলা কমে যাবে। কারণ এই লবণে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, এটি পানিতে দ্রবীভূত থাকাকালীন অবস্থায়, শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ফোলা ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
পা ফলার চিকিৎসা পা মেসেজঃ
পা মেসেজ করলে পা ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়ার যায়।মেসেজ প্রদাহ কমায়, সুতরাং পা ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মেসেজ একটি অন্যতম ভালো উপায়।
পা ফলার চিকিৎসা আইসপ্যাক ব্যবহারঃ
পায়ে আঘাতের কারনে অনেক সময় পা ও গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে আইসপ্যাক ব্যবহার করলে ফোলা কমে যায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে পা ফুলে গেলে ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে রেখে দিলে সৃষ্ট ফোলা কমে যাবে।ঠান্ডা জল রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
পা ফলার চিকিৎসা ফোলা পা উঁচুতে রাখাঃ
পা ফুলে গেলে ফোলা পা উঁচুতে রাখলে, পা ফোলা কমে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি। সমস্ত শরীর সমান্তরালে রাখলে অথবা পা তুলনামূলক উঁচুতে রাখলে পা ফোলার সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত পাওয়া যাবে।
পা ফলার চিকিৎসা ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণঃ
আমাদের শরীরে জল ধারণ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে, এক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম ও এজাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পা ফোলা থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে পালং শাক, বাদাম, কাজুবাদাম, ডার্ক, চকলেট, ব্রকলি ইত্যাদি।
পা ফলার চিকিৎসা আদা ব্যবহারঃ
আদা একটি ভালো অ্যান্টিবায়োটিক।এটি পা ফোলা ভাব কমাতে একটি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। আদা পিষে পেস্ট বানিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার ফোলা পায়ে ব্যবহার করলে এর উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও দিনে দুই থেকে তিন কাপ আদা চা খেলেও যথেষ্ট উপকার লক্ষ্য করা যায়।
পা ফলার চিকিৎসা ফোলা স্থান মালিশ করাঃ
ফুলে যাওয়া পা ভালোভাবে মালিশ করলে ফোলা কমে যাবে।মালিশ করলে কঠিন মাংসপেশি ঢিলা হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচলে উন্নতি ঘটায় ফলে অতিরিক্ত তরল নিষ্কাশনে সহায়তা করে। মালিশ করার জন্য সরিষার তেল, অলিভ অয়েল হালকা গরম করে ব্যবহার করতে হবে। গোসলের পরে মালিশ করলে বেশি উপকার লক্ষ্য করা যায়।
পা ফলার চিকিৎসা লেবু পানি পানঃ
দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে দিনে কয়েকবার পান করলে পা ফোলা কমতে সাহায্য করবে। লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেড রাখতে সহায়তা করে এবং প্রদাহরোধী উপকারিতা ও রয়েছে।
পা ফোলার ঔষধ
পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও কিছু ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। ডিক্লোমল ট্যাবলেট (Diclomol Tablet) পা ফোলা কমানোর একটি উল্লেখযোগ্য ঔষধ।একটি নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAID) বা স্টেরয়েড নয় এমন একটি প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ, যা জয়েন্টে ব্যথা,
গাঁটে ব্যথা, কঠিনতা, প্রদাহ, ব্যথা, এবং ফোলা থেকে মুক্তি দেয়, এছাড়াও আঘাত জনিত পেশি ব্যথা আর্থাইটিক, বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব, মাইগ্রেনের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পা ফোলার ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি উত্তম।
সাবধানতা অবলম্বন
পা ফোলার প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের পাশাপাশি, আমাদের কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেগুলো হলঃ
- পা ফোলা রোগ হলে পা বালিশের উপরে উঁচু করে রেখে ঘুমাতে হবে।
- পা না ঝুলিয়ে, পা তুলে বসার অভ্যাস করতে হবে।
- দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ না করে, মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
- নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে হবে।
- দীর্ঘ ভ্রমণের সময় আঙ্গুল,পেশি এগুলো যেন সচল থাকে সেজন্য ব্যায়াম করতে হবে।
- পা ফোলার কারণে চিকিৎসকের কাছে গেলে, যদি ব্যথা নাশক ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, বা জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন করেন, তাহলে সে সমস্ত তথ্য জানাতে হবে।
- সর্বোপরি,চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পা ফেলার কারণে কোন ঔষধ খাবেন না।
মন্তব্য
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, প্রায় সকল মানুষেরই এই সমস্যাটা কমবেশি হয়ে থাকে। পা ফোলা একটি বড় ধরনের সমস্যা এবং জটিল ও কঠিন রোগের একটি উপসর্গও বটে। এটিকে ছোটখাটো বিষয় মনে করে কম গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।
পা ফোলার কারণ এবং প্রতিকারের প্রাথমিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতির সমূহ আলোচনা করেছি, কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, পা ফোলা তীব্র হলে এবং দীর্ঘদিন স্থায়িত্ব হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আমার এ প্রতিবেদনটি আপনার ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন, তাহলে অন্য কেউ এর বিষয় সম্পর্কিত তথ্য জানার সুযোগ পাবে, এতক্ষণ ধরে এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।।
Hasi Online IT নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url